করোনা সচেতনতায় ভোলা জেলা পুলিশের র‌্যালি, সভা

ভোলা জেলা পুলিশের আয়োজনে “মাস্ক পড়ার অভ্যেস, কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ” শ্লোগানকে সামনে রেখে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা র‌্যালি করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রচারণা র‌্যালিটি ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় হতে বের হয়ে ভোলা সদর রোড প্রদক্ষিণ করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মাস্ক বিহীন ব্যক্তিদের মাস্ক পরিয়ে দেন, লিফলেট বিতরণ করেন এবং করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক পরিধান করা ও স্বাস্থবিধি মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ জানান।

একই দিনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা জেলা পুলিশের আয়োজনে “মাস্কবিহীন যাত্রী গণপরিবহনে ভ্রমণ করবেন না” এ সক্রান্তে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে ভোলা বাসস্ট্যান্ডে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার বলেন বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের এক বছর পার হয়েছে। আমরা আকস্মিকভাবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফল উদ্যোগ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং দেশের জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা করোনা মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছি। করোনা মোকাবেলায় যে ৮টি দেশ সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদেরকে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করতে হবে। আবার, দেশের অর্থনীতিও সচল রাখতে হবে। আমরা চাই না, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ অসুস্থ হোক অথবা কারো মৃত্যু হোক।

এজন্য করোনা মোকাবেলায় প্রত্যেককে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে ভুলে না যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে যাত্রীদের করোনার সংক্রমণের ঝুকি সবচেয়ে বেশি, যাত্রীদের গণপরিবহনে ভ্রমণের সময় শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার জন্য তিনি পরিবহন ও বাস মালিক সমিতির সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।

আলোচনা সভায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কে এম রহমান, ডিআইও-১ জেলা বিশেষ শাখা মোঃ জাকির হোসেন, ভোলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ পরিবহন শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।