ঝালকাঠি থেকে ঢাকাগামী পরিবহন চলাচল বন্ধ

ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি পূরণ না হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি রুটের ঢাকাগামী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বন্ধ হওয়া রুটগুলো হচ্ছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও বেকুটিয়া।

এ কারণে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত দেশের সকল দূরপাল্লার পরিবহনের গাড়ি এলেও ঝালকাঠি থেকে কোন গাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি এসব রুটে।

তে বুধবার রাত থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই রুটের ঢাকাগামী যাত্রীরা।

জানা যায়, গত ১৫ জুন থেকে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় ও এক বাস চালককে মারধরের জের ধরে ৭টি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।

সেই থেকে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কের রায়াপুর নামক স্থানে ঝালকাঠির অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড স্থাপন করে বাস চলাচল করছে। সেখান থেকে ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রতে চড়ে যাত্রীদের তিন কিলোমিটার দূরে বরিশাল রূপাতলী যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার ঝালকাঠি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি রুটের ঢাকাগামী গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা পরেছে চরম দূর্ভোগে।

বুধবার রাত থেকে ঝালকাঠি জেলা বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার পরিবহন ঝালকাঠি পেট্রোল পাম্প এলাকায় এলে বাস শ্রমিকরা যাত্রী নামিয়ে গাড়িগুলো ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে রেখে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডের দূর পাল্লার পরিবহন সাকুরা গাড়ির কাউন্টার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি রুটের কাউন্টার থেকে টিকেট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে ঝালকাঠি থেকে ঢাকায় চালচল স্বাভাবিক আছে।’

ঝালকাঠির আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, দূরপাল্লার এসব পরিবহন ঢাকা-ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে যাতায়াতের অনুমতি রয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবহারের সুযোগ নেই। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পাঁচটি রুটে দূরপাল্লার পরিবহন অবৈধভাবে চলছিল। কিন্তু ঝালকাঠির বাস পিরোজপুরের সড়কে চলতে না দেওয়ায় ঢাকার গাড়িও ঝালকাঠি থেকে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বৈঠক করবে।’