ধর্ম নিয়ে সহিংসতায় ভোলার সর্বশেষ পরিস্থিতি কী?

আব্দুর রহমান নোমান: ফেসবুক মেসেঞ্জারে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে করা কটুক্তির প্রতিবাদ করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন যারা, তাদের স্মরণে ভোলায় দোয়া মাহফিল করতে দেয়নি পুলিশ প্রশাসন।

এই দোয়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলার আশংকায় ভোলা-বরিশাল, ভোলা-নোয়াখালী লঞ্চ চলাচল এবং জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় পুরো জেলাকে বলতে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা থাকলেও বিকেল ৪টা থেকে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এছাড়া ভোলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে যাত্রীবাহী বাস ও ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ভোলায় হঠাৎ গঠিত সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি না মেলায় তারা সেই কর্মসূচি স্থগিত করে।

এরপরও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি ভোলা জেলায় পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এতে পুরো জেলায় একটা থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়।

জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন: ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করার অভিযোগ তুলে ভোলায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা যেন আর না ঘটে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

ভোলা প্রতিদিনকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সারাদিন ভোলা শহর এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি মোতায়েন ছিল এবং তারা টহল দেয়।

জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান: বিকেল ৪টা থেকে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান: প্রশাসন আগে মৌখিকভাবে অনুমতি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয়া হয়। অনুমতি না পাওয়ায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের সাথে আলোচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান: শুক্রবার সকালে শহরের বাংলা স্কুল ব্রিজ এলাকা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।