বোরহানউদ্দিনে ইয়াবাসহ মাদক সেবনকারী আটক

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলা জেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও জিনের গডফাদার, অগণিত মেয়েদের জীবন ধ্বংসকারী ওমর ফারুক ওরফে, ওমর আলী। যার নাম শুনলে কাচিয়া ইউনিয়ন কেঁপে ওঠে, যার নেতৃত্বে চলে পুরো কাচিয়া ইউনিয়নের প্রতারণা ব্যবসা ও ইয়াবা ব্যবসা।

সে কয়েকবার ইয়াবা ও প্রতারণা ব্যবসার দায়ে জেল খেটে বের হয়। তারপরও ভালো হয়নি সেই প্রতারণা ব্যবসায়ী ও ইয়াবার গডফাদার, ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলী। তাকে পুলিশ মাদক ও প্রতারণার দায়ে আটক করার পরে, জেলহাজতে গেলে তারই পালিত কাচিয়া ইউনিয়নের প্রতারণা ব্যবসায়ীরা ও মাদক ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে জেল হাজত থেকে জামিন করে বের করে।

এমনকি ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলী, তার নিজ সন্তান বায়জিদকে দিয়েও মাদক এবং প্রতারণার ব্যবসা করে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবর রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় কিছু সচেতন জনগণ মিলে তারিই বাড়ি থেকে জনগণ ঘেরাও করে। তার সন্তান বাইজিদকে ২ পিস ইয়াবাসহ আটক করে জনতা।

এরপর বোরহানউদ্দিন থানায় স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকরা জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সত্যতা যাচাই করে। এমনকি মাদক সেবনকারী বায়জিদ কে পুলিশ সদস্যরা জিজ্ঞেস করলে সে স্বীকারোক্তি দেয়। সে বলে মক্কার দোকান থেকে আজ সকালে দুই পিস ইয়াবা কিনে এনে তাদেরই লারকির ঘরে একা বসে ইয়াবা সেবন করার প্রস্তুতি নিলে, স্থানীয় জনগণ এসে তাকে আটক করে।

সে স্থানীয় জনতার কাছে বলে তার জীবনটা তারই পিতা, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও জিনের গডফাদার ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলী নষ্ট করে ফেলে। তার পিতা তাকে মাদক সেবন করা শিখিয়েছে।

ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলীর, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সুলতানা বেগম বলেন, সন্তান বায়েজিদকে তার পিতা ওমর আলী নিজের সাথে রেখে ইয়াবা সেবন করা শিখিয়েছে। এর জন্য দায়ী ওমর আলী।

তিনি আরও বলেন, ওমর আলী, অগণিত বিয়ে করে যুবতী মেয়েদের জীবন নষ্ট করে, এমনকি তার জীবনটা নষ্ট করে দেয়। সুলতানা বেগম তার নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে তার স্বামী ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলীকে তালাক দিয়ে দেয়। তার পরেও সে অনেকটি বিয়ে করে সেই বিয়ে করার পরেও তারই নির্যাতনে কোন স্ত্রী তার ঘরে থাকতে পারে না। তারাও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।

সুলতানা বেগম এর ভাই মোঃ সিহাব বলেন, ওমর ফারুক ওরপে ওমর আলী, তার তালাক দেওয়া স্ত্রী সুলতানা বেগমের কাছে আসার চেষ্টা করে। ওমর ফারুক ওরফে ওমর আলী, যখন দালালবাজার তার তালাক দেওয়া স্ত্রী সুলতানা বেগমের বাড়িতে আসলে সুলতানা বেগম ওই বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি চলে যায় এবং ওমর আলী যখন তার বাড়ি থেকে চলে যায় তারপরে সুলতানা বেগম তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এমন করেই দিন চলে তাদের। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার সুলতানা বেগম, ওমর ফারুকের ভয়ে, যখন তার বাপের বাড়ি পালাতে যায়, তখনই ওমর আলী স্থানীয় কিছু গন্য মান্য লোকজনদের নামে বিভিন্ন প্রকার আজেবাজে কথা উঠিয়ে দেয়। সে এমন বলে তার স্ত্রী নাকি এলাকার পর পুরুষের সাথে থাকে।

ওমর আলীর তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী সুলতানা বেগম বলেন, আমার ছেলে বায়জিদ, জেল হাজত থেকে বের হয়ে যেন ভালো হয়ে আসে, এটাই তার কামনা।