ভোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকার মাদক কারবারি ইসমাইল বেপরোয়া

ভোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মাদক কারবারি ইসমাইল সক্রিয়।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক দ্রব্য ইয়াবা ও গাঁজা।

বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানীয়রা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতন পুর ৮ নং ওয়ার্ড এলাকার ফরাজী বাড়ীর মৃত জব্বার আলীর ছেলে ৬ মামলার আসামী ইসমাইল সিন্ডিকেট।

ইসমাইলের বাড়ী বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল বাস ষ্ট্যান্ড পার্শবর্তী হওয়ায় স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করে এই অঞ্চলে বিশাল মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। হেলিপ্যাড মাঠ, বিশ্ব রোডের মাথা, লুজা ঘাট, বাস স্ট্যান্ড থেকে রতনপুর সড়কে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা তৎপর থাকে। কাস্টমার সংগ্রহ করে ইসমাইলকে মোবাইল ফোনে কল করে জানালে তার বাসার সামনের রতনপুর রোড নির্দিষ্ট স্থানে মাদক সরবরাহ করে থাকেন।

ইসমাইলের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় এফ আই আর নং ২৬/ ২৯ মে ২০২০ জি আর নং ২৯৯/২০২০ ইং, এফ আই আর নং ৫২/ ১৭ মার্চ ২০২০ জি আর নং ২০৪/২০২০ ইং, এফ আই আর নং ৭২/ ২৭ ফেব্রয়ারী ২০২০ জি আর নং ১৪৯/ ২০২০ ইং, এফ আই আর নং ৩২/ ২৭ নভেম্বর ২০১৪ জি আর নং ৪৪৭/ ২০১৪ ইং, এফ আই আর নং ১৯/ ১৫ আগষ্ট ২০১৬ জি আর নং ৩০৪/ ২০১৬ ইং, ভোলা দৌলতখান থানা এফ আই আর নং ০১/ ১ জানুয়ারী ২০১৪ ইং ১৫ (১)(ক) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিস্ফোরক, ধর্ষণ ও চুরি-ছিন্তাইসহ ৬টি মামলা রয়েছে। থানায় একাধিক মামলা থাকলেও বহাল তবিয়তে এলাকায় একটি সক্রিয় মাদকের সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, ইসমাইল তার অন্য সহযোগীদের নিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন, বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস ষ্ট্যান্ড ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্পটে দিনে দিনে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে। তাদের কাছে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক পাওয়া যায় বলে এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক উদ্ধারে পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ তৎপরতা থাকলেও বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় তেমন কোন অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় এখন মদকের নিরাপদ রুট হিসেবে ইসমাইল সিন্ডিকেট নিয়মিত মাদক বিক্রি ও সেবন করছে। শুধু মাদক বিক্রি করেই তারা বসে নেই, নিয়মিত চাঁদাবাজিও করছে। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছেনা। এখনই তাদের লাগাম টেনে ধরা দরকার। প্রশাসন একটু তৎপর হলেই এসব মাদক বেঁচাকেনা বন্ধ হয়ে যেতো বলে দাবী স্থানীদের।
একই গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, মাদক কারবারিরা নির্বিঘ্নে ব্যবসায় পরিচালনা করতে অনেকেই পুলিশের সোর্স পরিচয়ে এলাকার সাধারন মানুষকে ভিতি প্রদর্শন করে। শুধু মাদকেই শেষ নয়, মাদকের ছত্রছায়ায় বাস ষ্ট্যান্ডসহ পার্শবর্তী এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধীদের অভয়ারণ্য। প্রশাসন একটু কড়া নজর দিলে এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে স্থানীরা মনেকরেন।

এবিষয়ে স্থানীয় জনৈক ইয়াছিন জানান, ইসমাইল মাদক কারবারী ও এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসী। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সে এলাকার সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার দালালদের মাধ্যমে ওই মামলার রফাদফা করেন।
এই ব্যপারে জানার জন্য ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সে ব্যস্ত আছে বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।

এলাকার সাধারন মানুষ দাবী করেন, মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে তার সিন্ডিকেট সকলের নাম বেরকরা সম্ভব হবে। এলাকার যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এবিষয়ে ভোলা গোয়েন্দা ডিবি (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, মদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ভোলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। মাদক উদ্ধার অভিযানে কোন ছাড় নেই, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।