মন্দিরের সভাপতির নির্দেশে প্রতীমা ভাঙচুর-স্বর্ণালঙ্কার চুরি!

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার একটি মন্দির থেকে মালামাল চুরি হওয়া মালামাল ৬ মাস পরে উদ্ধারে সফল হয়েছে পুলিশ। একই সাথে এই চুরির ঘটনায় আরতি রানী শীল নামে এক নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে- মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ওই মন্দির সংলগ্ন আরতি রানীর ঘর থেকে মালামালগুলো উদ্ধারের পরে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতি পরান শীলের নির্দেশে চুরি করেছেন। অথচ এই পরান শীল চুরি মামলাটির বাদী। এই কারণে পুলিশ আপাতত বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করছে না।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল রাতে গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব পতিহার গ্রামে সরকার বাড়ি রাঁধা গোবিন্দ মন্দিরটিতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। এসময় মন্দিরের প্রতীমা ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কার ও প্রণামীর টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন সংশ্লিষ্ট থানায় মন্দির কমিটির সভাপতি পরান শীল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

এই মামলা দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে মঙ্গলবার পুলিশ নিশ্চিত হয়ে মন্দির পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে অভিযান করে। এসময় ঘরটি থেকে স্টিলের ৫০টি থালা উদ্ধার করা হয়।

এই তথ্য নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ তদন্তের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই মন্দির পার্শ্ববর্তী ঘরটি হানা দিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করে। এসময় ঘর মালিক আরতি রানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি মন্দিরে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি মামলা বাদী পরান শীলের নির্দেশের চুরি করেছেন বলে পুলিশ অবহিত করেন।

এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, বাদী পরান শীলকেও এখন নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এবং আপাতত চুরির মামলাটিতে আরতি রানীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।