রাজাপুরের ধর্ষককে ‘পালাতে সহায়তা করেছিল’ নয়ন

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে প্রতিবেশী নাতনিকে ধর্ষণ করা ছালাউদ্দিন মীর (৫৫) কে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাহবুব আলম নয়নের বিরুদ্ধে।

ওই ধর্ষককে পালানোর সহায়তা করার অভিযোগে পুলিশ তার একটি বাইক জব্দ করেছে বলেও জানা গেছে।

ভোলা সদর মডেল থানা এবং স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে ধর্ষক ছালাউদ্দিন মীরকে পালাতে সহায়তা করার বিষয়ে মাহবুব আলম নয়নের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নাম্বার ০১৯১১***৮০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে সেই নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এর আগে বুধবার দুপুরে রাজাপুর ৬নং ওয়ার্ড থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত ধর্ষক ছালাউদ্দিন মীর (৫৫) রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের ব্যবসায়ী।

ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভোলা প্রতিদিনের পক্ষ থেকে সদর মডেল থানায় ডিউটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এখনও বিষয়টি আসেনি। তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। এসআই রণজিৎ ঘটনাটি দেখছেন, তিনি হয়তো বলতে পারবেন। তবে এসআই রণজিৎকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ইউনিয়নে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, মামলা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার কারণে ধর্ষকরা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। এজন্য ইউনিয়নে একের পর এক ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।