লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

লালমোহনে টাকা দাবী করে না পেয়ে আবুল কালাম নামে একজনকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে। এমনকি নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তির ছেলে কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত ঘটনার বিচার না পাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত আবুল কালামের দুই মেয়ে।

লিখিত বক্তব্যে নির্যাতিত আবুল কালামের মেয়ে সিমা আক্তার ও রাজিয়া সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দখলীয় জমিতে একই এলাকার মো. মুসা নামের এক ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে। তিনি দাইমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি থেকে ওই জমি ক্রয় করেন বলে জানান। দাইমুদ্দিনের জমি দখল না করে আমাদের জমি দখল করার কারণে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে অভিযোগ করলে তিনি দুইবার ফয়সালায় বসেন। পরে তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারী জমি মেপে দিবেন বলে তারিখ দেন।

‌‘‘তবে ১৯ জানুয়ারি রাতে চেয়ারম্যান মুরাদ ও তার ভাই মামুন ডেকে নিয়ে এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তাদের কাছে জমা দিতে বলেন। জমি পেতে হলে তাদের কাছে টাকা রাখতে হবে বলে জানান চেয়ারম্যান ও তার ভাই। তখন তার বাবা আবুল কালাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরের দিন সকাল ১১ টায় আমার বাবাকে আবার চৌকিদার পাঠিয়ে ডেকে নেন। এসময় আবারও টাকা দাবী করে চেয়ারম্যান ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার বাবাকে চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ প্রকাশ্যে মারধর করে আটকে রাখেন’’, সংবাদ সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করেন সিমা আক্তার ও রাজিয়া সুলতানা মুন্নি।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, পরে আমাদের ভাই কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ নেয়নি। এ ঘটনার পর থেকে পুরো পরিবার চেয়ারম্যানের হুমকি ধামকি ও দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবী করছেন তারা।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১২ সালে আবুল কালাম একই এলাকার মোস্তফার কাছে জমি বিক্রির কথা বলে এক লক্ষ ৬০ হাজার নেন। পরে মোস্তফাকে টাকা ফেরৎ না দিয়ে ওই্ জমি অন্যত্র বিক্রি দেয়। স্থানীয়দের ফয়সালার মাধ্যমে মোস্তফাকে ৯৫ হাজার টাকা ফেরৎ দিলেও বাকি টাকা ফেরৎ দেয়নি। ওই টাকা ফেরৎ দিবে বলে আমার থেকেও আবুল কালাম কয়েকবার সময় নেয়। ২০ জানুয়ারী সেজন্য তাকে ডাকাই। তার কাছ থেকে টাকা চাইলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, যার জন্য তাকে কয়েকটা চড় থাপ্পর মেরেছি।