লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের পায়তারা

লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক জমি ও ঘর দখলের পায়তারা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ ঘর দখলের চেষ্টায় হামলা করে পিয়ারা বেগম নামে এক মহিলাকে পুরুষ শূন্য ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বর্ণালী সড়কে ১৮ জানুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত পিয়ারা বেগমকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক বিধায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা লালমোহন থানায় উল্টো অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ এনে ওই ঘরে থাকা পিয়ারার বোন পারুলকে ঘর থেকে বের থানায় নেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন পারুল।

থানার ওসির বরাত দিয়ে মহিলা পুলিশসহ এসআই, এএসআই ও পুলিশ সদস্যরা বারবার পারুলকে ঘর থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে থানায় যাওয়ার কথা বললে পারুল তাদেরকে বারবার পুলিশের কাছে বিনয় করে বলে, এরা একটু আগে এই ঘর দখলের জন্য হামলা করে আমার বোন পিয়ারাকে মারপিট করেছে, সে হাসপাতালে ভর্তি। আমি ওসি স্যারের সাথে দেখা করবো, কথা বলবো ঠিক আছে। তবে আপনারা আমাকে এখনই নিয়ে যেতে চান কেন? ঠিক আমি যাবো আপনাদের সাথে, আমাকে ওসি স্যারের লিখিত অর্ডার দেখান। আমার নামে কোনো ওয়ারেন্ট থাকলে দেখান। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এরা আমাদের ঘর জমিজমা দখল করার করছে। এদের বিচার দাবী করি।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি পাইনি। আমার কাছে ওনাদের প্রতিপক্ষ অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। উনি আসেননি। এখন আমার কী করার আছে।

উল্লেখ্য, মেহেরগঞ্জ মৌজার এসএ ১২৫৪ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে জমির মালিক ছিলেন মৃত সেরাজল হক। তার লোকান্তরে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক ও ভোগদখলকার নিযুক্ত হন তার পুত্র ও কন্যা ফিরোজ, পারুল ও পিয়ারা বেগম। জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে বাবুল, মনির, ফয়সাল, আলফাতুল, আসমা, লোকমান, বসার, রোমান, মোশারফসহ একটি গ্রুপ। কিছু জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। বাকি জমি দখলের পায়তারা দিচ্ছে। এই প্রভাবশালী গ্রুপটি লাঠিসোটা, দা, ছেনি, লোহার রড নিয়ে হামলা করে ঘরে ঢুকে ঘটনার দিন ১৮ জানুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে দশটার দিকে পিয়ারাকে মারপিট করে এবং মহিলাদের টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। আহত পিয়ারা ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এদিকে প্রভাবশালী মহলটি নানাভাবে হয়রানি করছে। ফিরোজ, পিয়ারা ও পারুল অসহায় হয়ে আদালতে মামলা করেন। দেওয়ানি মামলা নং ৯১/২০। উক্ত মামলায় ২৯/০৭/২০২০ইং তারিখে জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। প্রতিপক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের। ভুক্তভোগী পরিবার এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।