লালমোহনে ইলিশ রক্ষার অভিযানে জাল-নৌকা জব্দ

ভোলার লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষায় এখন পর্যন্ত ২টি মোবাইল কোর্ট ও ৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৬ হাজার মিটার জাল জব্দ করে বিনষ্ট এবং ২টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

তবে এই অভিযানে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এখনও কোনো জেলেকে পাওয়া যায়নি, তাই কোনো গ্রেপ্তার বা জেল-জরিমানার ঘটনা ঘটেনি।

লালমোহন উপজেলা ফিশারিজ অফিসার তানভীর আহমেদ ভোলা প্রতিদিন কে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, জেলেরা আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ৩০০ মেট্রিক টন চাল পাবে।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকেই মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা এখন পর্যন্ত ৩টি মোবাইল কোর্ট ও ৬টি অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এখনও কোনো জেলেকে পাইনি।

তানভীর আহমেদ জানান, মা ইলিশ রক্ষায় চলমান অভিযানে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। লালমোহনে ১৫ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। আমরা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া চাল তাদের মধ্যে বিতরণ করব।

অন্যদিকে ভোলার লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষায় শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জেলেরা ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর মেঘনা তীরের জেলে পল্লীতে এখন আর মাছ ধরা ও বিক্রির আমেজ নেই। সেখানে এখন জেলেরা মাছ ধরার জাল বুনছেন। এছাড়াও পুরনো জাল নতুন করে মেরামত করে সময় পার করছেন জেলেরা। একইসঙ্গে জেলে ও মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দেওয়া সহযোগিতা সঠিকভাবে পেলে তারা নিষেধাজ্ঞার সময়ে নদীতে মাছ ধরতে যাবেন না।

জেলেরা বলেন, সরকার ২২ দিন অবরোধ দিয়েছে। সেই সময়ে আমরা নিজেদের কাজকর্ম গুছিয়ে নিচ্ছি। ২২ দিন পর আমরা নদীতে নামব এজন্য আমরা আমাদের ছিড়ে যাওয়া জাল বুনছি। আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানছি। আমাদের জন্য সরকার যেসব সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সেগুলো যদি আমরা ঠিকমতো পাই, তাহলে আমাদের আর কোনো সমস্যা নাই।