লালমোহনে জ্বর-শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া ব্যক্তির করোনা ছিল না

ইউসুফ হোসেন, লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। উপসর্গ থাকায় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করা হলেও ওই ব্যক্তির করোনা ছিল না।

ভোলা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ নজরুল ইসলাম ভোলা প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে লালমোহনের ৭নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আবু সরদার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। এরপর তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গত কয়েকদিন আগে তার বড় ছেলের স্ত্রী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন ওই এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করেন উপজেলা নির্বাহী হাবিবুল হাসান রুমী।

সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সন্দেহে ভোলা জেলায় গত কয়েকদিন এক ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হলেও নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা নেই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এজন্য তাকে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে

‘করোনাভাইরাস সন্দেহে ১ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তার নমুনাও আমাদের কাছে এসেছে। তার করোনাভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে’, বলেন এই পরিসংখ্যানবিদ।

তিনি জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে একজন পালিয়ে গেছেন। তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। আর বাকি তিনজনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। সর্বশেষ জনের করোনা নেগেটিভ আসায় তাকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ভোলা জেলায় এখনও পর্যন্ত ঢাকা থেকে ১১৯ জনের করোনাভাইরাস এর নমুনা পরীক্ষা করে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এর ফলে জেলা এখনও শনাক্তের শঙ্কামুক্ত।

তিনি বলেন, ভোলা জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৪৭ জন।

নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে আমরা রিপোর্ট পেয়েছি ১১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রিপোর্ট এসেছে ২২ জনের।

তিনি জানান, জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৪৫৩ জনকে। এরমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন ২৪৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। করোনা সন্দেহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৮ জন।