লালমোহনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি জবরদখল

লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় সাংবাদিকের জমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে লালমোহন পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর ৮নং ওয়ার্ড এলাকার আবু মিয়ার কাছ থেকে জমি কিনে তাতে বাড়িঘর তৈরি করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার লালমোহন প্রতিনিধি ও লালমোহন প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শাহীন কুতুবের পরিবার।

কিন্তু ওই জমি দীর্ঘদিন জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে শাহজানের ছেলে পিন্টু ও আবদুল মালেক। তারা বিভিন্নভাবে সাংবাদিকের পরিবার পরিজনকে হুমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মৎস্য অফিসের আবদুল মালেক ও তার সহযোগী অন্যান্যরা মিলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে জোরপূর্বক দেয়াল তোলার কাজ শুরু করে।

সাংবাদিক শাহীন কুতুব জানান, আমরা শান্তি প্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা না পেয়ে জমির বিরোধ মেটাতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভোলার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। যার বাদি আমার চাচা মোঃ হারুন অর রশিদ। পরে বিরোধীয় ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত এবং উভয় পক্ষের মাঝে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে নির্দেশনা দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ (মঙ্গলবার) সকালে পুণরায় দেয়াল নির্মাণ শুরু করে মৎস্য অফিসের আবদুল মালেক। এসময় তাদেরকে বাধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঠি সোটা নিয়ে তেড়ে আসে। পরে এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ কে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। আর এ সুযোগে তরিঘরি করে প্রায় দুই তৃতিয়াংশ দেয়াল তুলে ফেলে আবদুল মালেকরা। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য অফিসের আবদুল মালেক বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে, এটা আমরা জানতাম না। পরে লালমোহন থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেই।

অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে সাংবাদিকের জমি দখলরোধে স্থানীয় প্রশাসনিক সাহায্য দিতে গড়িমসি এবং যথাসময়ে সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন লালমোহনের সাংবাদিকরা।