লালমোহনে শালিস বৈঠকে স্ত্রী ও শ্যালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

ভোলার লালমোহনে স্ত্রী সন্তান নির্যাতনের শালিস বৈঠক উল্টো স্বামী অতর্কিত হামলায় চালিয়ে স্ত্রী ও শ্যালককে আহত করার করার অভিযোগ।

গুরুতর আহত ভুক্তভোগী নারী ও তার ভাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরে বশির উকিলের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায় , লালমোহন পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জমাদার বাড়ির বাসিন্দা আলাউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে ফরাজগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ডের ইয়ামিনের সাথে সাত বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবীতে মারপিট করলেও পরে তা সমাধান হয়। বিপত্তি ঘটে ইয়ামিনের দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর। ছয় মাস পূর্বে ইয়ামিনের বিয়ের ঘটনা জানাজানি হলে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হতে থাকে যা সবশেষে স্ত্রীকে বেদরক মারপিটের মধ্য দিয়ে শালিস বৈঠকে পর্যন্ত গড়ায়। শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরে বশির উকিলের বাসায় এ নিয়ে শালিস বৈঠকে সব সমাধানে বসলে হটাৎ করে ইয়ামিন তার বউয়ের উপর হামলা চালায়। বোনের উপর হামলা বাঁধা দিতে গেলে শ্যালককেও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে ইয়ামিন। পরে ওই দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার সময় ইয়ামিন নাহার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী নাহার। তবে ইয়ামিন ভোলা বারের জুনিয়র (শিক্ষানবিশ) উকিল হয়ে এরকম ন্যক্কার জনক ঘটনা কিভাবে করতে পারল সে কারনে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ইয়ামিনের শ্বশুর আলাউদ্দিন।
এঘটনায় অভিযুক্ত ইয়ামিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের ফ্যামিলি গত ব্যাপার নিয়ে স্যারের বাসায় বসলে সমাধানের এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে আমার কাছে মাফ চাইতে আনলে আমি তার গায়ে একটি থাপ্পড় মারি সাথে সাথে সে বসে পড়ে। এরপর সবাই আমাকে রাগারাগি করে পরে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল রওয়ানা দিলে পরে আমার শ্যালোক হাসান উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারপিট করতে আসলে আমার ভাইব্রাদারদের সাথে তার একটু হাতাহাতি হয় এটা তেমন কিছুনা।

এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার দাবি করেন।