শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ভোলার এমপিদের শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ভোলা জেলার সংসদীয় আসনসমূহের সদস্যরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সোমবার সকালে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরমধ্যে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

একইভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তিনি লিখেছেন, ‌‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।’

অন্যদিকে সোমবার ভোর থেকেই দেশব্যাপী ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। ঢাকার মিরপুর কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকল স্তরের মানুষ।

এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যে আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে উৎপাটিত করবো।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ঘটনায় বিএনপির নিরবতার কারণ তারা জঙ্গিবাদের মদদ দাতা। তারাই দেশের সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে এটাই প্রমাণিত।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দু’দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করতে হবে । তাদের অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করণ, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।