দুলারহাটে কৃষকের খেতের তরমুজ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে রাতের আঁধারে দুই কৃষকের প্রায় এক একর জমির তরমুজ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীররাতে উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন, মো. রিয়াজ ও মো. মাইনুদ্দিন ঢালি। এ ঘটনায় কৃষক রিয়াজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুুলারহাট থানা পুলিশের ওসি মো.আনোয়ারুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ওই দুই কৃষক ধার দেনা করে তরমুজের চাষ করেছেন। এর মধ্যে মো. মাইনুদ্দিন সাড়ে ৩ গন্ডা এবং রিয়াজ ৯ গন্ডা জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। তাদের খেতের একেকটি তরমুজ ওজনে ১৩-১৪ কেজি ছিল। সেই খেত থেকে একবারও তরমুজ কাটেননি তারা।

কৃষক মো. রিয়াজ বলেন, শনিবার রাতে খেতের কাছেই ছিলাম। এশার নামাজের আগে বাড়িতে এসেছি। সকালে গিয়ে দেখি খেতের সবগুলো তরমুজ দুই টুকরা করে ফেলেছে। আমার ৯ গন্ডা জমিতে তরমুজ কেটে ফেলেছে। ৯ গন্ডা জমিতে তরমুজ আবাদে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা মতো খরচ হয়েছে। আমি ধার দেনা করে তরমুজের আবাদ করেছি। এখন আমি কী করবো?

কৃষক মাইনুদ্দিন বলেন, আমার সাড়ে ৩ গন্ডা জমির তরমুজ গতরাতে কে বা কাহারা যেন কেটে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত এক কাটাও দেই না। আগামী বৃহস্পতিবার তরমুজ বিক্রি করার কথা ছিল। ৩ গন্ডা জমিতে তরমুজ আবাদে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।

নুরাবাদ ইউনিয়নের প্রোজেক্ট ম্যানেজার নুর নবী ডালী বলেন, কৃষক রিয়াজ ও মাইনুদ্দিনের ১ একর জমির তরমুজ গতরাতে কে বা কাহারা কেটে ফেলেছে। সকালে এ খবর শুনে তাদের খেত দেখতে গিয়েছিলাম। সব তরমুজই দুই টুকরা করে ফেলেছে।

দুুলারহাট থানা পুলিশের ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, এ ঘটনায় কৃষক রিয়াজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। দুুইজন কৃষকের খেতের তরমুজ এভাবে যারা কেটে ফেলেছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।