তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

নামাজ আল্লাহর সাথে বান্দার সরাসরি সংযোগ স্থাপনের প্রধান মাধ্যম। ফরজ নামাজ ছাড়াও ঈমানদার মুসলমানরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করে থাকেন। এমনই এক সুন্নত নামাজের নাম তাহাজ্জুদ।

পবিত্র তাহাজ্জুদ নামাজ মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজ গভীর রজনীতে পড়তে হয়। তবে এ নামাজ অনেকেরই তেমন একটা পড়া হয় না বলে অনেক সময় এর নিয়ত ভুলে যান। সেজন্য তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি ও বাংলা নিয়ত দেওয়া হলো।

তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ত আরবি উচ্চারণ
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি উচ্চারণ যেভাবে করবেন তা হলো- নাওয়াই তুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাতাই সালাতুত তাহাজ্জুদী সুন্নাতে রাসুলুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিস শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ত বাংলা
আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দু-রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করিলাম।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাআত আদায় করতে হয়?
তাহাজ্জুদ নামাজ ২ থেকে ১২ রাকাআত পর্যন্ত পড়া বর্ণনা পাওযা যায়। তবে সর্বনিম্ন ২ রাকাআত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়াই ভালো। তবে এটা পড়া আবশ্যক নয়।

সম্ভব হলে ১২ রাকাআত তাহাজ্জুদ আদায় করা। তবে ৮ রাকাআত আদায় করা উত্তম। সম্ভব না হলে ৪ রাকাআত আদায় করা। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে ২ রাকাআত হলেও তাহাজ্জুদ আদায় করা ভালো। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের কোনো কাজা নেই।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
রাসুল সা. দুই দুই রাকাআত করে এ নামাজ আদায় করতেন। যেকোন সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।
– তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
– অতঃপর ছানা পড়া।
– সুরা ফাতেহা পড়া।
– সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন। অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।

এভাবে দুই দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।