এমন খেলায় কি সেমিফাইনালের আশা করা যায়?

ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলীয়ভাবে ভালো অবস্থানেই ছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে প্রস্তুতি ম্যাচেও ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু এরপরই যেন ধীরে ধীরে বদলে গেল বাংলাদেশ।

ভারতের সঙ্গে হারের পরই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ ছিল বলতে গেলে আনুষ্ঠানিকতার খেলা মাত্র। সেই ম্যাচেও পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানে হেরেছে মাশরাফীরা।

বিশ্বকাপের এই আসরে সাউথ আফ্রিকাকে হারানো ছাড়া তেমন কোনো সফলতা নেই টাইগারদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার, শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া, আর কয়েক ম্যাচে লড়াই ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই স্বপ্নের ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। এর মধ্যে সাকিব, মুস্তাফিজ আর সাইফউদ্দিন ছিলেন ব্যতিক্রম। সাকিব আর মুস্তাফিজ এই বিশ্বকাপে গড়েছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ডও। অবশ্য বেশি রান তাড়া করে এই বিশ্বকাপে জয়ের রেকর্ড একমাত্র টাইগারদেরই।

এসব এখন অবশ্য শুধুই সান্ত্বনা। যা হওয়ার ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের। এক্ষেত্রে বিশেষ করে আমরা দেখেছি ব্যাটিংয়ে টপঅর্ডারের চরম ব্যর্থতা। একমাত্র সাকিব এবং সাইফউদ্দিন ছাড়া তেমন কাউকেই ব্যাট হাতে লড়াইয়ের মনোভাবে হাল ধরতে দেখা যায়নি। এর উপর আবার ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা তো রয়েছেই। সেটা এমন পর্যায়ে ছিল যে, তাকে হতাশার চরম পর্যায় বলা যায়। এতসব ব্যর্থতা নিয়ে কি বিশ্বকাপের মতো যুদ্ধে টিকে থাকা যায়? এ কারণেই যা হওয়ার তাই হয়েছে।

এরপরও আমরা হতাশ হতে চাই না। এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা দ্রুতই এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আমরা আশা করি। কারণ, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই প্রকৃত যোদ্ধার কাজ। টাইগাররা সেই কাজটা ভালোভাবে করতে পারবেন বলে আমরা আশা করি।