করোনায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় ভোলা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৩৭টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এ তালিকায় দ্বীপজেলা ভোলা রয়েছে। ভোলায় সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৯ শতাংশ।

এ জেলাগুলোর মধ্যে ২০ থেকে ২৯ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে– সিলেট, ঝালকাঠি, রাজশাহী, নাটোর ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা এবং ফরিদপুরে।

এছাড়া ১০ থেকে ১৯ শতাংশ সংক্রমণের হার রয়েছে– দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফেনী, রংপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, সাতক্ষীরা, গাজীপুর বগুড়া, গোপালগঞ্জ, যশোর, মাদারীপুর চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, মাগুরা, নওগাঁ, কক্সবাজার, নড়াইল, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা এবং টাঙ্গাইল। এই তালিকায় ভোলা জেলার নামও রয়েছে।

গত ১৮ মে এই জেলাগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার ৬৩ শতাংশ এবং পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহীতে এই হার ৪১ শতাংশে উঠেছে। ৪০ শতাংশের ওপরে সংক্রমণ খুলনায়ও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) এবং করোনা সংক্রান্ত মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে জেলা পর্যায়ে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো সংক্রমণের হার কিছুটা বেশি। সংক্রমণের উর্ধ্বমূখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সবাইকে মেনে চলতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই এলাকাভিত্তিক কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি পালনে নজর দিতে হবে।

এছাড়াও সংক্রমণ বেশি সীমান্তবর্তী এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেয়া ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরুর পর থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ভোলা জেলায় ২৮ হাজার ৯০৪ জন তা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৩৭ জন।