গণপরিবহনে নারীর চলাচল কতটা নিরাপদ?

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নধর্মী এক প্রতিবাদ। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতাও জরুরি।

বাংলাদেশে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে গণপরিবহনে উঠলে হেনস্থার শিকার হন অনেক নারী।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে গণপরিবহনে ৯৪ শতাংশ নারী কোনো না কোনো সময় মৌখিক, শারীরিক এবং অন্যান্যভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারাই নারীরা হয়রানির শিকার হন বেশি।

আইনের প্রয়োগ না হওয়া, বাসে অতিরিক্ত ভিড় এবং যানবাহনে পর্যাপ্ত আলো ও সিসি ক্যামেরা না থাকার মতো কারণে হয়রানি ঘটতে পারছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। গবেষণার মতো বাস্তব চিত্রও তাই বলছে।

সামাজিক ও পারিবারিক নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকাশ্যে অনেক নারীই প্রতিবাদ করতে পারেন না। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠছেন নারীরা। গবেষকরা বলছেন, গণপরিবহনে যৌন হয়রানির বিষয়টি তীব্রতর হওয়াতেই প্রতিবাদের এই ভিন্ন উদ্যোগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হকসহ অন্যান্য গবেষকদের মতে, এভাবে হয়রানির শিকার হতে থাকলে তা নারীর ক্ষমতায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তবে, শুধু পরিবহনেই নয়, সকল ক্ষেত্রে চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি নারীদের।