চরফ্যাশনে প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল মামলায় অর্ন্তভুক্ত হয়নি সব আসামী

চরফ্যাশন ভোলা প্রতিনিধি.

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ওমান প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাসুর, দেবর, ননদ, শ্বাশুড়ী মিলে নিযার্তনের ভিডিও নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে অনেকে মন্তব্য করলেও বিচারক দেবর মনিরকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাত আইন ২০০৩ এর সংশোধনীর ৯ (৪) খ আওতায় এজাহার গ্রহণের জন্য চরফ্যাশন থানাকে নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ মনিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রবাসীর স্ত্রী লিখিত অভিযোগে শনিবার জানান, তার স্বামীর ঘর দখল করার জন্য মনির, হারুন,মাইনুদ্দিন,বোরহান, মিলে ঘরের অর্ধেক ৩ বছর পুর্বে দখল করে বসবাস করছে। বাকী অংশ দখল করার জন্য তার চলাচলের রাস্তা দখল সহ রান্নাঘর পযর্ন্ত তুলতে দিচ্ছে না।স্থাণীয় ইউপি সদস্য দুলাল এ ঘটনায় বারবার মনিরদের পক্ষ মৌণ সমর্থণ থাকায় বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে মনির, হারুন,মাইনুদ্দিন,বোরহান,নুরনাহার, খাদিজা, আসমা ঘরে প্রবেশ করে বেধড়ক প্রহার করে বোরহান, হারুন, মনির হাত পা বেধেঁ হারুন ও বোরহান বিবস্্র করে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা পযর্ন্ত নির্যাতন চালায়।এতে ভিক্টিম কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় তারা নিজেরাই মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ভিডিওটি স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে আপ করেন। সকাল ১১ টার সময় মেয়ে জিন্নাত খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জিন্নাত ফেসবুক থেকে আডলোড করা ভিডিও সংগ্রহ করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য দুলাল’র সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, মনির আমাকে রাত ৩টার সময় ফোন দেয় এরপর ভিক্টিেিমর মোবাইল দিয়ে মনির আবারও ফোন দেয় পরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী শাকিল ফোন দিয়ে বাড়ীতে আসতে বলেন। আমি ঐ বাসায় গেলে ভিক্টিমকে হাতপা বাধাঁ অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাধঁন খুলে দেওয়ার কথা বললে মনির ষ্টাম্পে স্বাক্ষর দেওয়ার শর্ত দেয়। নিরুপায় হয়ে ভিক্টিম ১ শত টাকা মুল্যের ৩টি অলিখিত ষ্টাম্পে স্বাক্ষর দেয় যা স্থাণীয় আওয়ামীলীগ নেতা বিএ হোসেন’র নিকট রক্ষিত আছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা নারী ও শিশু আদালতে মনির, হারুন, বোরহান, মাইনুদ্দিনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করলে বিচারক ভিডিও না দেখে মনিরকে বিবাদী করে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী শনিবার দুপুরে মিট দ্যা প্রেস এ সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় আমি মনির, হারুন, বোরহান, মাইনুদ্দিনকে মামলায় বিবাদী করে মামলা দায়ের করলে আদালত মনিরকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি মুরাদ জানান, আমি ভিডিও দেখেছি। আদালতের নির্দেশ অমাণ্য করার কোন সুযোগ নেই।
মামলার তদন্তকারী সাব ইন্সপেক্টর ( এস আই) রাসেল জানান, নির্যাতনের ভাইরাল ভিডিও মোতাবেক ৩/৪ জন ঘটনার সাথে জড়িত। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।