তজুমদ্দিনে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

তজুমুদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের উত্তর চাঁচড়া গ্রামের ১নং ওয়ার্ডে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৫ জুলাই রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উত্তর চাঁচড়া গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র রিপন একই গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ফয়েজের নৌকায় থাকে এবং মাছ ধরে। রিপন রাতে মাছ ধরতে গেলে তার স্ত্রী ও দুই বছরের শিশু কন্যা ঘরে থাকে। অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিনগত রাতে রিপন নদীতে মাছ ধরতে গেলে এই সুযোগে ফয়েজ ওই বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক রিপনের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

রিপনের স্ত্রী জানান, আমি রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে ফয়েজ আমার ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে আমি ঘরে এসে ফয়েজকে দেখে আমার ঘরে কেন এসেছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, তোর সাথে একটু কথা আছে। তখন আমি তাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলি। সে আমাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে। আমার মুখ চেপে ধরে। আমার পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ফয়েজ আমাকে বলে তুই একথা কাউকে বলিস না। আমি তোরে বিয়ে করব। তোর কাছে আবার আসব। এক পর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে সে আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ওই গৃহবধূ কান্নাকাটি করে ধর্ষণের বিচার দাবী করেন।

গৃহবধূর মা জানান, আমি এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই মেয়ের বাড়িতে আসি এবং তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। এসে দেখি আমার মেয়ের পরনের ছিঁড়ে ফেলা জামাকাপড় পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আমি এলাকার গণ্যমান্যদের এ ঘটনা জানাই বিচার দাবী করি। ফয়েজ আমার বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধামকি দেয়। আমরা যাতে কোন বিচার দাবী না করি। ফয়েজ আমাদের বলে, তোরা কি বিচার চাইবি। আমি তোদের নামে থানায় জিডি করে রাখছি। তোর মেয়ের জামাই তো আমার নৌকায় কাজ করে। তারে মেরে নদীতে ফেলে দিবো। ফয়েজ খুব হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন ফয়সালা না পেয়ে তজুমদ্দিন থানায় অভিযোগ করেন তারা। এরমধ্যেই ফয়েজ কৌশলে থানায় গিয়ে জিডি (নং- ৯২৫) করেছে বলে জানা যায়। এছাড়া ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ উল্যাহ ও তার ছেলে সোহেল এবং শিবলুকেও ওই জিডিতে জড়িয়েছে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ফয়েজ।

এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, রিপনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এর পূর্বে ফয়েজ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় জিডি করেছে। এসআই জসিমকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের দ্বায়িত্ব দিয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।