তজুমদ্দিনে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দালাল কান্দি ৫নং ওয়ার্ডে বড় বাড়িতে ৩০ মে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, তজুমুদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের আবুল কাসেমের ছেলে রাসেলের সাথে লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লাহরী বাড়ির ফজলে আলমের মেয়ে রত্নার ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষের দাবী অনুযায়ী নগদ তিন লক্ষ টাকা ও দেড় লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকারসহ মালামাল দেয়। বিয়ের পর নতুন নতুন কিছু দিন ভালো কাটলেও যৌতুক লোভী এই পরিবারে গৃহবধূ রত্নার ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। স্বামীর চাকুরীর সেখানে দেয়া লাগবে এই অযুহাতে গৃহবধূর বাপের বাড়ি থেকে চার লাখ টাকা আনতে চাপ দেয়। এতে ওই গৃহবধূ অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। কথায় কথায় গালিগালাজ করে এবং শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে মেযের সুখের কথা চিন্তা করে ফজলে আলম দুই লাখ টাকা দেয়। কিন্তু এতেও খায়েশ মেটেনি যৌতুক লোভী পরিবারটির। আবারও টাকার জন্য চাপ দেয়। এভাবে দুঃখ কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা ভোগ করে গৃহবধূ রত্না সংসার চালিয়ে যায়। এই দম্পত্তির ঘরে একটি সন্তান হয়। যার বয়স আট মাস। শ্বাশুড়ি ও দুষ্ট ভাসুর মিলে রত্নার কোলের সন্তান হত্যার চেষ্টা করে। রত্নার স্বামী রাসেল কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে চাকরি চাকরির সুবাদে ঢাকা থাকে। এই সুযোগে লম্পট ভাসুর নিরব বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে ঘটনার দিন স্বামী রাসেল, ভাসুর নিরব, নাজিম, শ্বশুর আবুল কাসেম ও শ্বাশুড়ি সাহিদা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘরে আটকে রাখে।

পরে স্থানীয় লোকজন গোপনে লালমোহন তার বাপের বাড়ি খবর দিলে তারা গিয়ে রত্নাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর আগে ২৬ মে তাকে বেদম মারপিট করেছে। কিন্তু কোন চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি। তাকে আত্মহত্যার করার জন্য তারা রাস্তা দেখিয়ে দেয়। শ্বশুর বাড়িতে এমন অমানুষিক নির্যাতনে ওই গৃহবধূ অসহায় হয়ে পড়েছে।

নির্যাতিত গৃহবধূ ও তার পিতৃ পরিবার এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।