নিখোঁজ হননি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ব্যবস্থাপক, তিনি ভোলায়

লালমোহন প্রতিনিধিঃসিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ক্যাশ ও ব্যাংকিং শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহে আলমের (৪৬) খোঁজ মিলেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শাহে আলমের পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে তার সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশে বের হন মো. শাহে আলম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা রাতে সিলেটের শাহপরান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ নিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন দেখে নিখোঁজ শাহে আলম নিজেই পরিবারকে ফোন করে জানান, তিনি নিখোঁজ হননি। ভোলায় আসার পথে লঞ্চে আছেন। তার মুঠোফোনের চার্জ হঠাৎ শেষ হওয়ায় কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এরপর শনিবার সকালে শাহে আলমের স্ত্রী মোবারেকা সুরভী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনাদের রিপোর্ট হয় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায়। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে। টেলিভিশনেও নিখোঁজের সংবাদ প্রচারিত হয়। লঞ্চে এক ব্যক্তি ফেসবুকে নিউজ ও ছবি দেখে তাকে (শাহে আলমকে) দেখান। তিনি আমাদের ফোন করেন রাত পৌনে ১২টায়।’

মোবারেকা সুরভী আরও বলেন, সব মিলিয়ে টানা প্রায় ১২ ঘণ্টা আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে কেটেছে তাদের। ভোলার লালমোহনে তার গ্রামের বাড়িতে আছেন তিনি। রাতে ও সকালে কথা হয়েছে। তিনি অনেকটা মানসিক চাপে আছেন। এ জন্য কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ এভাবে চলে যান।

গতকাল রাতে শাহপরান থানায় করা জিডিতে বলা হয়, গতকাল দুপুরে গ্যাস ফিল্ডসের গাড়ি দিয়ে শাহে আলম সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে বটেশ্বর বাজারে যান। দুপুর ১২টার পর গাড়িটি খালি ফিরে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বটেশ্বর বাজারের সামনে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শাহে আলম দুই হাতের ইশারায় থামান। এরপর তিনি ওই বাসে ওঠেন। বাসটি জাফলং থেকে সিলেটমুখী ছিল।

শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, সিসি ক্যামেরা দেখে পুলিশেরও এরকম ধারণা ছিল। কাউকে কিছু না বলে এভাবে চলে যাওয়ার বিষয়ে শাহে আলম সিলেটে ফিরে এলে এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।