বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি এমপি শাওনের সমবেদনা

আব্দুর রহমান নোমান: লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। এছাড়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে প্রায় ৩০টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

গুরুতর আহতদের মধ্যে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সাজেদা (৪৫), শরীফ (২০), পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের জাহানারা (৬৫), রিজিয়া (৬০), খতেজা (৫৫), জামাল (১৮) কে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার উভয় ইউনিয়নে অন্তত ৩০টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে এবং খুঁটি উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছ উপরে পড়ে ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রবল বাতাসে ঘর পড়ে গেছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৯ নভেম্বর রাতের এ তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনসহ স্থানীয় লোকজন রাতভর উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকক্যাল টিম সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যুৎ কর্মীরাও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। উদ্ধার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদিক ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার কারণে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ব্যাপক ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের শুরু থেকে এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমে ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধার কর্মী মাঠে নেমেছেন। এজন্য এলাকাবাসী তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে অনেক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, গাছগাছালি পড়ে গেছে, বসত ঘর পড়েছে, খামার ও পুকুরের মাছ চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে যথাযথ সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুলবুলের প্রভাব অনেকটা কমে এলেও অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ অফিস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং এলাকায় মাইকিং করেন। এসময় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।