বোরহানউদ্দিনে উসাস এর আয়োজনে প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা

বোরহানউদ্দিনে একঝাঁক সাহিত্যপ্রেমি কবি ও লেখকদের নিয়ে প্রাণবন্ত এক সাহিত্য আড্ডায় মুখরিত হয়ে গেল হাফিজ ইব্রাহীম কলেজের শিক্ষক মিলানায়তন। তৃণমূলে নবীণ ও প্রবীণ লেখকদের চমৎকার এ সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে উপকূল সাহিত্য সংসদ, ভোলা।

উসাস’র সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. তাহেরুল আলমের হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনায় দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি নীহার মোশারফের স্বরচিত কবিতা পাঠ উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে তোলে।

সাহিত্য আড্ডায় কবি ফিরোজ মাহমুদ অনেকটা মুরুব্বির ভূমিকা পালন করেন। সাহিত্যের নানাদিক ফুটে ওঠে তার বিশদ আলোচনায়। ‌তিনি বলেন, ‌‘উসাস’ অল্প সময়ে বেশ সাঁড়া জাগিয়েছে। তার মতে,বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যারা যতো ভালো লেখক, তারা ততো ভালো পাঠক। উসাস সেই পথেই এগুবে।

‘লালচান’ খ্যাত গ্রন্থের জনপ্রিয় লেখক নুরুল আমিন “কতো কথা কও নদী” তার আবেগময় কণ্ঠে আবৃত্তি করেন। কবি ও লেখক হতে গিয়ে তার পরিবারের দুঃখ ও দুর্দশার কথা যখন সাহিত্য আড্ডায় বলছিলেন তখন সকলের মন বেদনায় বিদীর্ণ হয়ে ওঠে।

সাহিত্য আড্ডায় আরো আবৃত্তি করেন কবি এরশাদ সোহেল। তার লেখা “স্মৃতির দহণ” সবাইকে তারুণ্যের নীলখামের দুরন্ত প্রেমের কথা মনে করিয়ে দেয়।

এরপর চমৎকার আবৃত্তি নিয়ে আসেন কবি অলিউল্যাহ্ হাসনাইন। তার “শুণ্যতা”র আবৃত্তি মনের অন্তর্কোণে বিবর্ণ ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে।

আড্ডার আসরে কবি সাব্বির আলম বাবুর “অস্রু” যেনো কবিকে ফিরে নিয়ে যায় বিরহ ও বিচ্ছেদের ভূবনে। শ্রোতারাও মুগ্ধ হন।

এ. এইচ. এম আরিফুল ইসলাম আবৃত্তি করেন, “মরণাপন্ন জীবণক্ষণ”। জীবনমুখি তথ্য নির্ভর কবিতাটি আড্ডায় সাঁড়া জাগিয়েছে।

আড্ডায় যখন শুনশান নীরবতা…. তখন জনপ্রিয় কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর “মিছিল” কবিতাটি বলিষ্ঠকন্ঠে আবৃত্তি করে শোনান নন্দিত আবৃত্তি শিল্পী জাকারিয়া আজম। সাহিত্য আড্ডার আয়োজনে তিনি সবাইকে নির্ভেজাল আতিথিয়েতায় কৃতজ্ঞতার আবদ্ধে জড়িয়ে রাখেন।

আরো আবৃত্তি করেন,তরুণ দুই লেখক মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. রাকিব হোসেন প্রমূখ।

আবৃত্তির ফাঁকে ফাঁকে চলে আলোচনা, রসিক কথন ও উসাস’র ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা।লেখালেখি বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কবি নীহার মোশারফ।তিনি বই প্রকাশের আগে সম্পাদনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শুদ্ধতার মুগ্ধতায় এক নিরিবিলি পরিবেশে ভোলার অতি পরিচিত হাফিজ ইব্রাহীম কলেজের শিক্ষক মিলানায়তনে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে উপকূল সাহিত্য সংসদ, ভোলা।