বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেই দুর্ব্যবহার

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এক স্বজনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামে কর্মরত এক সাংবাদিক। টেস্ট বাণিজ্যের ক্লিনিকে পরীক্ষা না করায় দায়িত্বরত এক চিকিৎসক রিপোর্ট রিজেক্ট করে দিলে ভাই সম্বোধন করে ওই ডাক্তারের নাম জানতে চাইলে তিনি এ দুর্ব্যবহার করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের চিকিৎসকদের এ নৈতিক অধঃপতনের চিত্র দেখা গেছে।

জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি তুহিন খন্দকার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন চিত্র তুলে ধরেছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‌‌‘‘সরকারী চাকুরে বটে ডাক্তার স্যার। বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের ডাক্তার তিনি। নাম তার নাছিম। চট্টগ্রামে কর্মরত এক সংবাদকর্মী তার এক স্বজনের হাতের আঙ্গুল ভেঙে যাওয়ায় বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের ডাক্তার এর কাছে নিয়ে আসেন। যথারীতি ডাক্তার ভেঙে যাওয়া আংগুলের এক্স-রে করাতে একটি ক্লিনিকে পাঠান। ওই সংবাদকর্মী ডাক্তারের নির্দিষ্ট ক্লিনিকে এক্সরে না করার কারণে এক্সরে রিপোর্ট রিজেক্ট করে পুনরায় আবার এক্সরে করাতে বলেন। তখনই ওই সংবাদকর্মী নিজের পরিচয় দিয়ে ডাক্তার সাহেবকে স্যার না বলে ভাই সম্বোধন করায় ক্ষেপে গেলেন ডাক্তার স্যার। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাকে নাকি স্যার বলতে হবে! ভাই বলা অপরাধ।

ভিডিও ক্লিপে ডাক্তার আরো বলতে শোনা যায়, বোরহানউদ্দিনে কোন শিক্ষিত সাংবাদিক নেই। ডাক্তার স্যার শিক্ষিত হয়েও জানলেন না রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হয় তার রুটি রুজির বেতন। জনগণের টাকায় হয় মেডিকেল কলেজ এবং ওই মেডিকেল কলেজের প্রফেসরদের বেতন। আর সেই জনগণ কে আপনি স্যার বলা উচিৎ ডাক্তার বাবু। আপনার পছন্দের ক্লিনিকে এক্সরে না করায় একজন সংবাদকর্মীর সাথে অসদাচরণ করেছেন এবং আপনি বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিক অশিক্ষত বলে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন, লজ্জা থাকলে জনসমূক্ষে আপনি ক্ষমা চাওয়া উচিত।
ষাঁড়! ষাঁড়!! ষাঁড়!!!’’