ভোলায় ভ্যাকসিন কর্মসূচি নিরাপদ হোক

ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালের নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে দিয়ে দেশে বহুল প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

নার্স রুনু ছাড়াও ভ্যাকসিন নিয়েছেন চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মবিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।

ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির প্রথমদিনে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োগের জন্য ২০ ভায়েল (প্রতি ভায়েলে ১০টি ভ্যাকসিন) করোনার ভ্যাকসিন, ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কাজের জন্য ৮০ ভায়েল ভ্যাকসিন আজই ৫ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যান্য জেলার মতো ভোলায়ও শিগগিরই আসছে ভ্যাকসিন।

ভারত থেকে ইতোমেধ্য ৫০ লাখ ডোজ কেনা ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই ভ্যাকসিন আনা হয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে ক্রয়চুক্তি অনুযায়ী। এর আগে ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উপহার দেয় ভারত।

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহের পাশাপাশি নানারকম দ্বিধা রয়েছে। করোনায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বে ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা, কাজেই বিজ্ঞানীদের কাজের প্রতি আস্থা রেখে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে সময়মতো অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।

আমাদের আশাবাদ, দেশের অন্যান্য জেলার মতো দ্বীপজেলা ভোলায়ও নিরাপদ হবে এ ভ্যাকসিন কর্মসূচি। এজন্য আমরা সবাইকে কোন ধরনের গুজবে কান না দিয়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।