ভোলা প্রতিদিনকে খুব সহজে দমানো যাবে না

ভোলা প্রতিদিন ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠার কয়েকবছর পার করেছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, দেশব্যাপী এত মিডিয়া থাকার পরও কেন ভোলা প্রতিদিন ডটকম এর প্রয়োজন হলো? এর জবাবে বলা যায়, ‌‘জাতীয় মিডিয়ায় নানা সীমাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিকভাবে ৬৪ জেলার সব সংবাদ প্রচার করা যায় না। এতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয় না। এজন্য আঞ্চলিক মিডিয়া হাউজের প্রয়োজন। ভোলা জেলার প্রেক্ষাপটে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি।’

ভোলা জেলার নানাবিধ সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো জাতীয় মিডিয়ায় অবহেলিত থাকার কারণে গণমানুষের স্বাভাবিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। দ্বীপজেলা হওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট আকারে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে যৌক্তিক, অযৌক্তিক, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হলেও কতিপয় সাংবাদিক তাদের পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছিলেন না। এর ফলে অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে ভোলা জেলা ও এখানকার মানুষ পিছিয়ে পড়ছিল। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল ফেইক নিউজ।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালের ১ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বীপজেলা ভোলাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভোলা প্রতিদিন ডটকম। শুরু থেকে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে নানা ঘটনার খবর, বিশ্লেষণ, খবরের পেছনের খবর ও মতামত তুলে ধরছে ভোলা প্রতিদিন ডটকম। এরই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রতিনিয়ত ভোলা জেলার করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি সঠিকভাবে তুলে ধরেছিল ভোলা প্রতিদিন। এটা গর্বের সাথে বলা যায় যে, ভোলা জেলার করোনাভাইরাস আপডেট স্থানীয় আর কোনো সংবাদমাধ্যম সেভাবে দিতে পারেনি।

করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দিয়েছে ভোলা প্রতিদিন, ঠিক একইভাবে নানা অনিয়মের খবরও এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়গুলো ভোলা জেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিমাসে লাখ লাখ ভিউ ও এনগেজমেন্ট হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভোলাবাসীর এ ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ। তবে এতে আমাদের শত্রু যে বাড়েনি তা-ও নয়। ক্ষিপ্ত হয়েছে কেউ কেউ। অন্যায়ের সাথে আমরা আপোষ করিনি বলে। আমরা আপোষ করতে পারিনি আমাদের পেশাগত দায়বদ্ধতা এবং জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ থাকার ফলে। এজন্য নানামুখি চাপও সহ্য করতে হয়েছে।

তবে সর্বশেষ দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। হ্যাক ও হ্যাকার। এ শব্দ দু’টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে থাকা মিডিয়ার জন্য হুমকিস্বরুপ। এটা স্তব্দ করে দেওয়ার অন্যতম চেষ্টা। সেই অপচেষ্টা হয়েছে আমাদের সাথে। আপনাদের প্রিয় সংবাদমাধ্যম ভোলা প্রতিদিনও হ্যাক করা হয়েছে। ভোলাপ্রতিদিন ডটকম এর ওয়েব ডেভেলপার আমাদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এনোনিমাস হ্যাকিংয়ের ফলে কারা এর সাথে জড়িত তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য কারা কী কারণে ভোলা প্রতিদিন এর মতো সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে তা আমাদের নখদর্পণে রয়েছে। বিগত দিনে জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ভোলা প্রতিদিন এর চিরাচরিত অবস্থান পর্যালোচনা করলে ফলে পুরো বিষয়টি খুব সহজে পরিষ্কার হবে। এর ফলে সাময়িকভাবে ভোলা প্রতিদিন এর ওয়েবসাইট বন্ধ ছিল।

আমরা মনে করি, এতে ভোলা প্রতিদিন এর মূলত সমস্যা হয়নি। ইমজে সংকটের বদলে সম্মান আরও সমুন্নত হয়েছে। কাজের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা আরও বেড়েছে। আর আমরা যে ঠিকভাবে সাংবাদিকতা করছি সেটা আরও একবার প্রমাণিত। এছাড়া কাজের স্পৃহা আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করি। ঠিকভাবে কাজ করলে এমন শত্রুতার শিকার না হওয়াই বরং অসম্মানের। মূলকথা হলো- দ্বীপজেলার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুতরাং আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভোলা প্রতিদিন ডটকমকে অতো সহজে দমানো যাবে না, ইনশাআল্লাহ।