লালমোহনে চাঁদা না পেয়ে এম্বুলেন্স চালকের দাঁত ফেলে দিলো সন্ত্রাসীরা

লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে এক এম্বুলেন্স চালকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পূর্ব চর উমেদ গ্রামে ২১ মে সকাল অনুমান ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পূর্ব চর উমেদ গ্রামের মালেগো বাড়ির মনির রাজধানী ঢাকায় এম্বুলেন্স চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিভিন্ন সময় ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে এলাকায় আসেন। ১৯ মে গজারিয়া এলাকার এক হার্টের রোগী নিয়ে মির্টফোর্ট এলাকা থেকে লালমোহন আসেন। ওই রোগীকে গজারিয়ায় নামিয়ে দিয়ে এম্বুলেন্স চালক মনির তার নিজ বাড়ি চলে যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যার কারণে সে আর এম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি।

একই এলাকার কামরুল, জসিম, এমরান, নিরব, রাব্বিসহ কয়েকজন করোনার মধ্যে তার থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে আসার কারণে চাঁদা দাবি করে। সে চাঁদা দিবে না বলে তাদের বলে দেয় এবং লালমোহন থানায় তার এম্বুলেন্স নিয়ে এলাকায় আসার কারণ জানাতে বলে। তারা তার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ২১ মে সকালে তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। তার দাঁত ফেলে দেয় এবং তার সাথে থাকা মানিব্যাগ ও ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করায়।

আহত মনির জানান, এদেরকে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এরা আমাকে পিটিয়ে আমার একটি দাঁত ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন ডেন্টালের যোগাযোগ করে কৃত্রিম দাঁত বসিয়েছি। পাশের দাঁতে আঘাত প্রাপ্ত।

ওই এলাকার বিভিন্ন সূত্র জানায় কারুল, জসিম, এমরান, নিরব, রাব্বির উৎপাতে এলাকাবাসী শংকিত। তারা এলাকায় একের পর এক অপরাধ করলেও তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা অহেতুক বিভিন্ন লোককে মারধর করে।

এ ঘটনায় এম্বুলেন্স চালক মনির ও তার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।