আব্দুর রহমান নোমান: লালমোহনে অবিবাহিত এক গৃহকর্মী বা কাজের মেয়ে তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করেছেন। এ ঘটনায় ধর্ষককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে আসামীরা মামলা তুলে নিতে এবং সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহবাজপুর গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহবাজপুর আবাসনের হতদরিদ্র পরিবারের মৃত আলী আজমের অবিবাহিত মেয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিত্তশালী দ্বীন মোহাম্মদের বাসায় কাজ করত। দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে রাসেলের লোলুপ নজর পড়ে এ মেয়েটির উপর। বিভিন্ন সময় রাসেল বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। রাসেলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাসেলের ঘরের দক্ষিণ পাশের বাগান মেয়েটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরও একাধিক বার ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মীর দাবি, এ ঘটনায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। রাসেলকে এ কথা জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানাভাবে টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। পরে প্রভাবশালী রাসেল ও তার পরিবারের লোকজন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের প্রায় তিন মাসের মধ্যে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সকাল অনুমান ৬টার দিকে একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাসেলের কুকর্মের কথা প্রকাশ হয়ে যায়। মেয়েটির উপর বিভিন্নভাবে রাসেল চাপ দিতে থাকে। মেয়ের স্বামীও এখন তাকে মেনে নিচ্ছে না। কাজের মেয়েটি বাদী হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করে। যার নং ১২। জিআর ২৭৭।
ভুক্তভোগী ওই গৃহকর্মী বলেন, রাসেল মামলা তোলার জন্য বারবার হুমকি দিচ্ছে এবং সন্তান মেরে ফেলার জন্য রাসেল ও তার পরিবার পায়তারা দিচ্ছে। আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে রাসেলের মোবাইলে ফোন করেও সাড়া মিলেনি।