লালমোহনে নববধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

ভোলার লালমোহনে মোসা. তাসপিয়া আক্তার লিজা (১৫) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সুইচ গেইট এলাকার সর্দার বাড়ির মহিউদ্দিনের ঘর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। কিশোরী লিজা মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে এবং নাজিরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

মৃত লিজার মা ঝর্না বেগম জানান, রাতের খাবারের পর হাতে মেহেদি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে লিজা। এরপর আমরাও ঘুমিয়ে যাই। তবে সকালে উঠে ঘরের আড়ার সঙ্গে লিজাকে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এরপর আমার চিৎকারে পাশ্ববর্তী ঘরের লোকজন এসে দড়ি কেটে লিজার মরদেহ নিচে নামায়।

ঝর্না বেগম আরও জানান, গত ৬ মাস আগে নারায়নগঞ্জের এক ছেলের সঙ্গে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিজাকে ওই ছেলে সেখানে নিয়ে যায়। এরপর সে বাড়িতে বেড়াতে এসে আর স্বামীর কাছে যেতে রাজি হচ্ছে না। তবে কি কারণে লিজা গলায় ফাঁস দিয়েছে তা আমরা সঠিক বলতে পারছি না।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, মহিউদ্দিনের ৩ মেয়ে ১ ছেলে তার মধ্যে লিজা মেজ বড় মেয়ের বিয়ে হয় কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা ৫ নং ওয়ার্ডের সোহেলের কাছে। কয়েক মাস আগে সোহেল ভেকু দিয়ে বাড়িতে পুকুর খনন করায় সে ভেকুর ড্রাইভার ছিল নারায়নগঞ্জের নাম রিদয়। পরে সোহেল ড্রাইভার রিদয় এর আচার আচরণে ভালো লাগায় তার শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসপিয়া আক্তার লিজাকে রিদয়ের কাছে বিয়ে দেয়। তবে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তেমন ভালো সম্পর্ক ছিলোনা বলেও জানাযায়।লিজা বুধবার মাদ্রাসায় গিয়েছিল বলে জানান লিজার বড় বোন ও নানি।

এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে