লালমোহনে বিক্রিত জমি পুনরায় দখলের চেষ্টা

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে জমি বিক্রি করার ৮ বছর পর পুনরায় উক্ত জমিতে ঘর তুলে দখল করার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে জমি ক্রেতা ফিরোজার লোকজন উক্ত ঘর ভেঙ্গে ফেলে। এসময় ফিরোজাকে গাছে বেঁধে রাখা ও ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের দুটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

শুক্রবার উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের কাজিরাবাদ গ্রামের খা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিও দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শনিবার লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে খা বাড়িতে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে ঘর উত্তোলন করা হয়। এ ঘর উত্তোলনকালে সেখানের ফিরোজা খাতুনের লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে মোস্তফার লোকজনদের মারপিট করে ঘর সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর করা হয়। ওই ওয়ার্ডের মোকসেদ আলম মেম্বারের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে মোস্তফার পক্ষ থেকে অভিযোগ করেন। এসময় আহত হয়ে রাশেদা বেগম, সুমাইয়া, ময়না বিবি লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভাংচুরের এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে রাতে ফিরোজাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ছাড়া হয়। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। যদিও ওই ভিডিওটি সাজানো বলে জানা গেছে।

ইউপি মেম্বার মোকসেদ আলম জানান, মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি তার জমি বশারের স্ত্রী ফিরোজা খাতুনের কাছে ৮ বছর আগে বিক্রি করে ঢাকা চলে যায়। ৭/৮ দিন আগে মোস্তফার স্ত্রী সন্তানরা আবার ফিরে এসে বিক্রিত জায়গায় ঘর উত্তোলন শুরু করার পায়তারা করে। এক পর্যায়ে অন্য জায়গায় ঘরের চাল বেড়া তৈরি করে শুক্রবার হঠাৎ করে ফিরোজার ওই জায়গায় ঘর উত্তোলন করে। এসময় ফিরোজা বাধা দিলে তাকে বেধে মারধর করে। মোকসেদ মেম্বার এর প্রতিবাদ করলে তাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে প্রতিপক্ষরা।

এ ব্যাপারে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাসেলুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলা দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।