সশস্ত্র মহড়া দিতে এসে গণধোলাই খেলো ‘জ্বীনের বাদশা’

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:  ভোলার বোরহানউদ্দিনের কুঞ্জেরহাট দালাল বাজার এলাকার পাটোয়ারি বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পক্ষের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল হিসেবে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে এসে গণধোলাই খেয়েছে স্থানীয় কথিত এক জ্বীনের বাদশা ও তার সাগরেদরা। পরপর দু’দিন মহড়া দিলে মঙ্গলবার স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলাই দেয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দালাল বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল স্থানীয় সাংবাদিক এবং বোরহানউদ্দিন অনলাইন প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রাকিব হোসেন ও সেলিম গ্রুপের। একপর্যায়ে সোমবার সেলিমরা প্রভাব বিস্তার করতে টাকার বিনিময়ে কথিত জ্বীনের বাদশা ক্যাডার ও জলদস্যু ক্যাডারদের দিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেয়।

একপর্যায়ে রাকিবদের গ্রুপের লোকজন, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আলম পাটোয়ারীকে খুনের উদ্দেশে আজাদ হাওলাদার ও সেলিমের নেতৃত্বে মহড়া চলে। পরদিনও এই বহিরাগত ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে এলাকায় এলে স্থানীয় জনতা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে গণধোলাই দেয়। একপর্যায়ে সেই কথিত ভাড়াটিয়া জ্বীনের বাদশার ক্যাডার ও জলদস্যুরা পালিয়ে যায়।

এসময় ক্যাডার ভাড়া করে আনা সেলিমও মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবারের সশস্ত্র হামলা ও হুমকির বিষয় সত্য বলে তিনি জানতে পেরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জ্বীনের বাদশা ও জলদস্যু ক্যাডারদের কেন ভাড়া করতে হবে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি সেলিম গ্রুপের লোকজন। বহিরাগতদের দিয়ে মহড়া দেয়ার কারণে জনগণ ক্ষিপ্ত বলে স্থানীয়রা তাদের গণধোলাই দেয় বলে জানিয়েছেন।

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’