গ্রীনলাইন এর টিকেট অনলাইনে কিনে বিপাকে যাত্রীরা

ভোলা সদর এর ইলিশা নৌরুটের দিবা সার্ভিস গ্রীনলাইন এর টিকেট অনলাইনে অগ্রিম কিনেও বিপাকে পড়ছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। গত কয়েকদিন ধরেই এমন অভিযোগ করছেন তারা।

অনলাইনে টিকেট নেওয়া এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনলাইনে টিকেট কাটার আগে ভেবে নিন। গ্রীনলাইন আজকে একটি বাটপারী করলো। আজকে গ্রীনলাইন ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে ৮টায় কিন্তু তারা কী করলো ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে চলে গিয়েছে। ঘাটে অনেক ভাইয়েরা অনলাইনে টিকেট কিনে তারা উঠতে পারে নাই অথচ তারা ভরপুর যাত্রী নিয়ে যাত্রা করছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

হাসনাইন আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘আজকে গ্রীনলাইন তার যাত্রীদেরকে না নিয়েই প্রায় ৪৫ মিনিট আগে চলে গিয়েছে। আমার মতো ৫০/১০০ জনেরও বেশী যাত্রী হয়রানীর শিকার হয়েছেন। আমি অনলাইনে টিকেট কেটেছি ৮:৩০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়ার কথা কিন্তু ছেড়েছে ৭:৪০ মিনিটে। গ্রীনলাইনের মতো এরকম একটি কোম্পানীর কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।’

গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ট্রিপ শুরু হওয়ার পর থেকে যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে গেলেই বিআইডব্লিউটিএ এবং প্রশাসন সদরঘাটে কোনো লঞ্চ বা নৌযানকে থাকতে দিচ্ছে না। তাই আমাদের জাহাজেও যাত্রী ভরে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে সদরঘাট ত্যাগ করে ইলিশার উদ্দেশে রওনা দিতে হচ্ছে।

গ্রীণ লাইন এর ফেসবুক পেজেও এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সন্মানিত যাত্রীবৃন্দ!আপনাদের সকলকে আবারো অবগত করতে চাই যে যাত্রী চাপের জন্যে সকল নৌযানকে নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে যেতে হচ্ছে BIWTA এর নির্দেশে, আমাদেরকেও ছেড়ে যেতে হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের আগে। যারা আমাদের টিকেট সংগ্রহ করেছেন ইতোমধ্যে তাদেরকে আমাদের জাহাজ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে জাহাজে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি। অর্থাৎ যারা আমাদের গ্রীন লাইন-৩ জাহাজে হিজলা ও বরিশাল যাবেন তারা সকাল ৭ টার মধ্যে চলে আসবেন, যারা কালীগঞ্জ ও ইলিশায় যাবেন তারা সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটের মধ্যে গ্রীন লাইন-২ জাহাজে চলে আসবেন।’

তবে অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করেও গ্রীনলাইন আগে ছেড়ে দেয়ার কারণে যেসব যাত্রী যেতে পারেননি সেসব টিকেট ফেরত নেওয়া বা পরবর্তীতে টিকেট ব্যবহার করা যাবে কিনা তা জানতে গ্রীনলাইন এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।