চরফ্যাশনে মধুমতি ব্যাংকের ১০ কোটি টাকা গায়েব, আটক ৬

চরফ্যাশনের মধুমতি ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বদলি হওয়া শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। রোববার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিমের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ার পর ব্যাংক শাখার একজন কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নতুন শাখা ম্যানেজার ব্যাংকে যোগদানের পরই টাকা লোপাটের বিষয়টি নজরে এলে তিনি থানায় জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের শাখায় পুলিশ এলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত টিমের নির্দেশে পুলিশ মূল অভিযুক্ত সদ্য বদলি হওয়া শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল কবিরের বন্ধু মো. রাসেল, রেজাউলের ভাই মো. কবির, রাসেলের ভাই মো. মাসুদ, শ্যালক মো. সজিব, শশিভূষণ এলাকার বিএনপি নেতা মো. ফারুক ও ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার কিশোর কুমার দেবনাথকে গ্রেফতার করে। ঢাকায় বদলি হওয়া রেজাউল কবির গা ঢাকা দিয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যেই টাকা সরানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত টিমের কথা শুনেই আটক রেজাউলের স্বজনরা ব্যাংকে ছুটে এসেছিলেন।

জানা যায়, নতুন শাখা ব্যবস্থাপককে দায়িত্ব হস্তান্তরেও প্রথম থেকেই গড়িমসি করছিলেন ভোলার অধিবাসী রেজাউল কবির। ফলে এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছিল। জানতে চাইলে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক ইয়াছিন উদ্দিন সোহেল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই সদস্যের টিমের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ না করার নির্দেশনা রয়েছে। রোববার ওই টিম তদন্ত শুরু করে। এর আগে চরফ্যাশন থানায় করা জিডিতে টাকা লোপাটের জন্য আগের শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল কবিরকে অভিযুক্ত করা হয়। জিডির ওই কপি দুদক বরিশালকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, শুক্রবার মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকে ফোন করে তার ব্যাংক থেকে নয় কোটির বেশি টাকা শাখা ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ দেন। পরে চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওই অভিযোগ দুদকে পাঠানো হয়। এ অবস্থায় রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি অডিট টিম চরফ্যাশন গেলে ওই টিমকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শাখার একটি পক্ষ।

চরফ্যাশন থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, যে অভিযোগপত্রটি প্রথমে দেওয়া হয়েছে তাতে ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে।

সূত্র: বরিশাল ট্রিবিউন