নবীজির অবমাননা কেউ মেনে নেবে না: মাওলানা নাইম

ভোলায় মহানবী (সা.)কে অবমাননায় প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাইম।

তিনি বলেন, ভোলায় গত দুই বছরের মধ্যে তিনটি অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা বন্ধে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘তিনি বলেন, ধর্মের ব্যাপারে যদি কোনো কিছু হয় তাহলে সেটা কেউ মেনে নেবে না। সেটার তারা প্রতিবাদ করবে। এবং প্রতিবাদ করে তারা কী বলছে? তারা বলছে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করুন, আইনের আওতায় আনুন। প্রতিবাদের ভাষা এটা, চাচ্ছে এটা, হওয়া দরকারও এটা, তাহলে হচ্ছে না কেন?’

বিবিসি জানায়, ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথনে মহানবী (সা.)কে কটুক্তির অভিযোগে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র পরিবার গত দুই সপ্তাহ ধরে অনেকটা গৃহবন্দী হয়ে আছে। মহানবীকে কটুক্তির অভিযোগে সেখানে একদিকে যেমন উত্তেজনা বিরাজ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক।

জানা যায়, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে ঘটনার পর থেকেই কারাগারে আছেন। এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া এলাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভোলায় এ ঘটনার সূত্রপাত ১৫ সেপ্টেম্বর। ওই দিন জয়রাম ও গৌরাঙ্গ নামে আইডির মধ্যে মেসেঞ্জার কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অবমাননাকর কিছু বক্তব্য থাকায় বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিতর্কিত ওই পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ ডায়েরি করেন গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে। জেলা সদরে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।

ভোলায় এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে বিধায় বিষয়টি তদন্তে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তদন্তকাজ সময়সাপেক্ষ বলে জানান ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

তিনি জানান, গৌরাঙ্গ নামের আইডির কোনোকিছু আমরা চাইতেই পারি নাই। কারণ একটা আইডির ডিটেইলস চাইতে গেলে সেখানে লিংকসহ পাঠাতে হয় ফেইসবুক আইডির। আমরা ওইটার লিংক পাইনাই। আমরা জয়রামের লিংক পেয়েছি। আমরা আশাবাদী যে এটাও বের করতে পারবো।

এখনো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভোলায় উত্তেজনার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি যদি থাকে। তারা এটা ঘৃণা জানাবে, প্রতিবাদ করবে স্বাভাবিক। কিন্তু এটা যেন সেই ধর্মীয় পরিধির মধ্যেই থাকে। এটাকে যেন আবার কেউ রাজনৈতিকভাবে কেউ ব্যবহার করতে না পারে। আমি উদ্বিগ্ন এটা নিয়েই।