বঙ্গবন্ধুর খুনির বাড়ি বোরহানউদ্দিনের চালচোর চেয়ারম্যানের ইউনিয়নে

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদের পৈতৃক বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার। তিনি একইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীন জেলেদের জন্য আসা ত্রাণের চাল চুরি করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন এই চেয়ারম্যান। তাদের চাল চুরির সংবাদ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধরও করেছেন তারা।

এছাড়া আরও বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর এই খুনির নাতিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার দাদার কুকীর্তি জানার পর সেই কমিটি স্থগিত করা হলেও পরবর্তীতে প্রভাবশালীদের তৎপরতায় আবারও সেই কমিটি বহাল করা হয়েছিল।

ক্যাপ্টেন (অব.) মাজেদের নাতি বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সেই সাধারণ সম্পাদকের নাম মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস। তাদের পরিবারের এক নারীও সরকারি চাকরিজীবী।

বোরহানউদ্দিনে খবর নিয়ে জানা যায়, যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ মিয়া, সেই কমিটি একবার স্থগিত করা করা হয়েছিল। পরে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সেই কমিটি আবার বহাল করা হয়। খুনি মাজেদ গ্রেপ্তারের খবরে বোরহানউদ্দিনে চায়ের কাপে ফের ঝড়, এবার সেই প্রভাবশালী মহলের স্বরূপ উন্মোচন করা হোক, যারা দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের পরিবারকে ভয়ঙ্কর রকমের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন।

এলাকায় এখন এটাও বলাবলি হচ্ছে, খুনি মাজেদের পরিবারের এক নারী সদস্যকে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের চাকরিও পাইয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে এলাকার মানুষের আপত্তির মুখে ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

অন্যদিকে ফাঁসির রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

কারাগারে আবদুল মাজেদ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদকে আজ ভোর তিনটার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আটক করে।

এরপর তাকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘প্রডিউস’ করা হয়। এরপর আদালত মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং পরবর্তিতে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’’