বাস মালিক সমিতির আধিপত্যের জেরে লালমোহনে উত্তেজনা : পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন

ভোলা বাস মালিক সমিতির আধিপত্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত তাদের লাগাম টানতে পারেনি কেউ। তাই বিপাকে পড়েছে যাত্রী পরিবহনকারী ছোট ছোট যান চালকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে লালমোহন থানার মোড় এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে আধিপত্য দেখায় বাস মালিক সমিতির স্টাফ রাকিব। ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া সিএনজি থেকে চাবি ছিনিয়ে নেয় রাকিব।
এনিয়ে বাস-সিএনজি উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে জানান সিএনজি স্ট্যান্ডের লাইনম্যান মোঃ হারুন।
হারুন জানায়, সকালে ভোলা বাসস্ট্যান্ডে লালমোহনের দুটি সিএনজি আটক করে বাস মালিক সমিতির লোকজন। আমরা তার কোনও প্রতিবাদ করিনি। কারণ, তারা প্রায়ই বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি আটকে দুই/তিনঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়।
কিন্তু সকাল ৮টার দিকে ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা সিএনজির চাবি ছিনিয়ে নেয় রাকিব। এনিয়ে ক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা বাস চলাচলে বাঁধা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং একপর্যায়ে বাস ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বাস মালিক সমিতির লোকজন উল্টো রাস্তার মধ্যে বাস বন্ধ করে যান চলাচল আটকে দেয়।
ওই সময় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে থানার মোড় আসে আবদুল্লাহ নামে একটি বাস। ভোলা বাস মালিক সমিতির লোকজন ওই বাসটিকেও আটকে দেয়। এনিয়ে থানা মোড়স্থ আবদুল্লাহ কাউন্টারের লোকজনের সাথে বাস মালিক সমিতির ডাইরেক্ট বাসের চালক আলমগীরের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাস মালিক সমিতির লোকজন প্রায়ই সিএনজি, অটোরিকশা আটক করে, ভাঙচুর করে। এমনকি চালকদেরকেও মারধর করে বলে অভিযোগ ছোট ছোট যান চালকদের। তাই বাস মালিক সমিতির একক আধিপত্য রোধ ও ছোট যান চালকদের পেটে লাথি মারা বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষুদ্র যান চালকরা।