ভোলায় নৌবাহিনীর জোরালো টহল, বাজার-রাস্তা জনশূন্য

আব্দুর রহমান নোমান: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে নিজ নিজ ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে বরিশালে জোরালো টহল দিচ্ছে নৌবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। একই সাথে তারা জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক করতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোলা থেকে গত কয়েকদিন নৌপথে যাত্রীবাহী কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। লক্ষীপুরসহ অন্যান্য রুটেও ছেড়ে যায়নি যাত্রীবাহী কোনো লঞ্চ। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিকে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রীদের নিয়ে কিছু ট্রলার আসলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল।

জেলার অভ্যন্তরে কিছু রিকশা এবং মোটরসাইকেল চলাচল করলেও থ্রি হুইলারসহ সকল গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার সর্বত্র ওষুধ এবং মুদি দোকান ছাড়া বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষও।

তবে নিজেদের বাড়িতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানছেন অনেকেই। এজন্য ব্যাপক আকারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জনগণকে বাধ্য করার আগেই তারা নিজেরা ঘরে অবস্থান করায় ভোলার ডিসি জেলার জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে ভোলায়। এছাড়া সরকারি অফিস-আদালত এবং কাজ বন্ধ থাকায় হতদরিদ্র জনগণের ঘরে সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। জনগসমাগম নিরুৎসাহিত করতে জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা এবং প্রশাসনের সহায়তায় কর্মহীন দরিদ্র জনগণের ঘরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

ভোলা জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা শনাক্ত না হলেও সতর্ক অবস্থানে থেকে শত প্রবাসী ও তাদের সংস্পর্শে আসা সন্দেভাজনদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।