লালমোহনে নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ ধরতে যায়নি জেলেরা

ভোলার লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষায় শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জেলেরা ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর মেঘনা তীরের জেলে পল্লীতে এখন আর মাছ ধরা ও বিক্রির আমেজ নেই। সেখানে এখন জেলেরা মাছ ধরার জাল বুনছেন। এছাড়াও পুরনো জাল নতুন করে মেরামত করে সময় পার করছেন জেলেরা। একইসঙ্গে জেলে ও মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দেওয়া সহযোগিতা সঠিকভাবে পেলে তারা নিষেধাজ্ঞার সময়ে নদীতে মাছ ধরতে যাবেন না।

লালমোহনের মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। এখানকার ঘাটগুলো প্রতিদিন মাছ কেনাবেচায় সরগরম থাকে। তবে এখন সেখানে পিনপতন নীরবতা। ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা কাটাচ্ছেন অলস সময়। কেউবা জাল বুনতে ব্যস্ত, কেউ আবার মেরামত করছেন পুরনো জাল।

জেলেরা বলেন, সরকার ২২ দিন অবরোধ দিয়েছে। সেই সময়ে আমরা নিজেদের কাজকর্ম গুছিয়ে নিচ্ছি। ২২ দিন পর আমরা নদীতে নামব এজন্য আমরা আমাদের ছিড়ে যাওয়া জাল বুনছি। আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানছি। আমাদের জন্য সরকার যেসব সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সেগুলো যদি আমরা ঠিকমতো পাই, তাহলে আমাদের আর কোনো সমস্যা নাই।

শাহজাহান নামের এক জেলে বলেন, আমরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরি। সরকার ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। মা ইলিশ ডিম ছাড়লে ২২ দিন পর আমরা অনেক বেশি মাছ ধরতে পারব। কিন্তু এই ২২ দিন আমরা যে পরিবার খাবো সেজন্য সরকার আমাদেরকে যে ভাতা দিয়েছে সেটা যেন সঠিকভাবে পাই। তাহলে আমরা অবরোধ পালন করব। নদীতে মাছ ধরতে যাব না।

একই কথা শোনা গেল স্থানীয় আড়তদার আলমগীরের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে সব জেলে অবরোধের সময় মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। জেলেরা যেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সহায়তা শতভাগ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুছ সহ উপজেলা ও পুলিশ প্রসাশন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। একইসাথে জেলেদের ভাতাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা সঠিকভাবে দেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।