লালমোহনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মসজিদে হামলার গুজব!

ভোলা প্রতিদিন অনলাইন: লালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মসজিদে হামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মিথ্যা গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনই স্পর্শকাতর বিষয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের হাজীর হাট এলাকায়। গত ১৩ এপ্রিল মাগরিবের পরে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা যায়, চরভুতা ইউনিয়নের হাজীর হাট এলাকায় ৮নং ওয়ার্ডের জামাল ও সিরাজদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষই একই বাড়ির বাসিন্দা। তাদের বাড়ির দরজায় ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল মধ্যবর্তী স্থানের রাস্তার ওপর গণ্ডগোল হওয়ার কারণে পথচারী ও যানবাহন আটকা পড়ে। ঘটনার সময় ওই পথ দিয়ে ওষুধ কেনার জন্য লালমোহনে আসার পথে ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চরভুতা ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ইউসুফ এবং আরও কয়েকজন লোক গণ্ডগোলের মাঝে পড়ে যায়। ইউসুফ হোন্ডা সাইড করে রাখে। অন্যান্য পথচারীদের মতো সেও মারামারি বন্ধ করার চেষ্টা করে।

‌‌‘‘এক পর্যায়ে নাজিম, সিদ্দিক, দুলাল এসে ইউসুফের হোন্ডাটি আটকে রাখে। ঘটনাস্থলেের পাশেই ৭নং ওয়ার্ডে বাইতুল নাজাত নামক একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ, যার ইমাম ও মুয়াজ্জিন নাজিম, সভাপতি সিদ্দিক। তারা দু’জনে মিলে ষড়যন্ত্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মসজিদে হামলার মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে’’, জানান স্থানীয়রা।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুজব সৃষ্টি করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা, সাজানো এই অভিযোগে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে মানববন্ধনও করিয়েছে গুজব সৃষ্টিকারীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ‍মুসল্লি জানান, মসজিদ নিয়ে এলাকায় কোন ধরনের বিরোধ নেই, হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, পরিকল্পিত, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও সাজানো। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মূলত মসজিদে হামলার মিথ্যা অভিযোগটি সাজিয়েছে সিদ্দিক ও নাজিমরা। নাজিম ও সিদ্দিকদের দাপট, অত্যাচার ও নির্যাতনে আমরা এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। সিদ্দিক ও নাজিমের তাণ্ডবে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এখনও তারা এলাকায় বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মসজিদে হামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে গুজব তৈরি করে তারা লালমোহনের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

এই গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউসুফসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।