ইলিশা ফেরিঘাটে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী যাত্রীদের ঢল

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারাখানা খুলে দেয়ায় ভোলা সদরের ইলিশা ফেরিঘাটে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

ইলিশা ফেরিঘাটে এমনই একজন যাত্রী মো. ইয়াসিন। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে তার শিশুসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঘাটে আসার আগে থেকেই ভোগান্তি শুরু হয়েছে। এখন ঘাটে এসেও দেখি দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। লঞ্চসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ। কিন্তু আমাদের কারখানা খুলে দেওয়ায় এখন আমাদের যেতেই হচ্ছে। চাকরি করতে হলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেজন্য এমন অবস্থার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছি।

চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করেন হাবিবা। তার কোলেও দেখা গেল শিশুসন্তান। তিনি বলেন, কোনো ধরনের গাড়ি পাইনি। বাড়ি থেকে অটোরিকশায় অনেক টাকা দিয়ে এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এত ভাড়া কোথায় পাবো। চট্টগ্রামে গিয়ে কীভাবে চলবো আল্লাহ জানে। এছাড়া এখন জীবনের ঝুঁকি তো আছেই। কিছু করার নেই। কারখানা খুলে দেয়ার সাথে সাথে যানবাহন খুলে দিলে এত কষ্ট হতো না।

ইলিশা ঘাটে যাতায়াত করা ফেরিগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। এছাড়া আইন অমান্য করে ছোট ছোট ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে। তবে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি।