লালমোহনে প্রতিপক্ষের হামলা মার পিট আহত ২০

লালমোহন প্রতিনিধিঃ
লালমোহনে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ২০জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে ৩১ জুলাই রাত অনুমান ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ১১জনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের  ৬নং ওয়ার্ডের রহিম মেম্বারের ছেলে জোবায়ের ঈদের সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি শামিমকে মারপিট করে। পরে শামিম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার দাবি করলে তারা বিষয়টি রহিম মেম্বারকে জানাতে বলে। রহিম মেম্বারকে জানালে তিনি ঈদের পরে ফয়সালা করার কথা বলেন। এদিকে বিচার দাবি করার কারণে জোবায়ের তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মেম্বারকে ফয়সালা করার কথা বললে সেও শামিমকে উল্টো ধমক দেয়। শনিবার দুপুরের দিকে শামিমকে মাদ্রাসা বাজার রাস্তার উপর পেয়ে জোবায়ের মারপিট করতে ধরলে সেখানে দুইজনে ধস্তাধস্তি হয়। শামিম স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানায়। রহিম মেম্বার এলাকার দাপুটে লোক।মেম্বার বলে কথা এ ঘটনা তার সম্মানে লেগেছে বলে তিনি শামিমকে দেখে নিবেন বলে হুমকি ধামকি দেন। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রহিম মেম্বার গ্রুপিং করতে থাকে। রাত অনুমান ৯টার দিকে মাদরাসা বাজারে রহিম মেম্বার,শাহাদত মেম্বার, জোবায়ের, সোহেল, জিয়া, কামাল, আরিফ, তানজিল ও ভুট্টুসহ আরো কয়েকজন মিলে শামিমকে ধরে মারপিট করতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে এলে আরিফ, শামিম সর্দার, আরিফ সর্দার, সাখাওয়াত, সোহেল, রাকিব, তোফায়েল, রহিম, ইউনুস, আনোয়ার, রাসেলসহ অন্তত ২০জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। মারপিটের সময় হামলাকারীরা আহতদের সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং অফিস ভাংচুর করে। রহিম মেম্বার ও তার লোকজনের তান্ডবে এলাকার মানুষ ও বাজার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সুযোগে রহিম মেম্বার ও তার লোকজন বাজারের বাইরে পথরোধ করে মারপিট করে। এমনকি আহতদের লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেও তারা বাধাগ্রস্ত করে। পরে আহতদের চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা ও ভর্তি করানো হয়।
আহতরা জানান, রহিম মেম্বার ও তার ছেলের উৎপাতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। রহিম মেম্বারের কোনো অন্যায় অপরাধের প্রতিবাদ করা যায় না। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে কোনো না কোনোভাবে খেসারত দিতে হয়। রহিম মেম্বারের পেছনে কোনো কুচক্রী মহল এবং অশুভ শক্তি আছে বলে তারা মনে করেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন রহিম মেম্বারের খুঁটির জোর কোথায়? এবিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করে রহিম মেম্বারকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আহতরা ও তাদের পরিবার ন্যায় বিচার দাবি করেন।