ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: ভোলাসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

এতে ভোলা জেলার নৌরুটে চলাচলকারী সব লঞ্চও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল থেকে যাত্রীবাহীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এছাড়া মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (বুধবার) দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় পড়তে শুরু করেছে। এজন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চরফ্যাশনের ঢালচর সহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এসব অঞ্চলে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে ভোলা জেলার প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।