ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় কতোটা প্রস্তুত ভোলা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমেই ধেয়ে আসছে উপকূলে। এর ফলে উপকূলীয় জেলা ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলার জন্য জেলার সাত উপজেলায় ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৭০৯টি সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া মুজিব কিল্লাগুলোকেও প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, ভোলার ৩০টি চর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র নেয়ার জন্য ১৩ হাজার সিপিপি, আনসার, গ্রাম্য পুলিশ, স্কাউটসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে চরফ্যাশনের ঢালচর সহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এসব অঞ্চলে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় ভোলা জেলার নৌরুটে চলাচলকারী সব লঞ্চসহ সারা দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।