আব্দুর রহমান নোমান: শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতে ঘূণিঝড় বুলবুল খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত আনতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথম আঘাত আনতে পারে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। কাছাকাছি সময়ে আঘাত হানতে পারে উপকূলীয় জেলা ভোলায়ও। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে বুলবুল কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল উপকূলের দিকে মুখ করে আছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলা কতোটা প্রস্তুত? এমনই প্রশ্ন ছিল জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকের কাছে। তিনি বলেন: ভোলা সদরসহ ৭ উপজেলায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সকল সাইক্লোন সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ সবাই প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ৯২টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু নদী তীরবর্তী মানুষেরা এখনও ততোটা প্রস্তুত না। তাদের অনেকেই বাড়িঘর রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে রাজি নয়। তবে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর মাত্র ৫ মাস ব্যবধানে ভোলাসহ উপকূলীয় আসলো আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। ফণীর চেয়ে বুলবুল আরো শক্তিশালী ছোবল নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতোমধ্যে ভোলাসহ বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।