দৌলতখানে করোনায় আক্রান্ত হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানকে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে থাকতে বলা হলেও নিয়ম ভঙ্গ করে ঘোরাফেরা করায় তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চরফ্যাশনে বেড়াতে আসা করোনা আক্রান্ত রোগী এখন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় এখন দু’জন আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি দু’জন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে দৌলতখান উপজেলায় আজ বুধবার আরও একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ জনে পৌঁছেছে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন।
এছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের একজন পরিসংখ্যানবিদ জানান, বুধবার জেলায় ৩৮ জনের রিপোর্ট এসেছে। এরমধ্যে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, বাকি ৩৭ জন নেগেটিভ। শনাক্ত ব্যক্তির বাড়ি দৌলতখানের চরখলিফা এলাকায়।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৫২১ জনের রিপোর্ট পেয়েছি। এরমধ্যে ৯ জনের করোনা পজিটিভ, ৫১২ জন নেগেটিভ। আর জেলা থেকে মোট ৮৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই পরিসংখ্যানবিদ জানান, জেলায় এখন ২ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বশেষ দৌলতখান হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানকে আইসোলেশনে আনা হয়েছে। তবে এখন কেউ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেই। মোট ৯০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তাদের সবাই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন জেলায় ৩৬৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। মোট ২১৩৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন, আর মোট হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭৬৮ জন।