বরিশালের নাহিয়ান ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ভারপ্রাপ্তরা শুধুমাত্র পরবর্তী সম্মেলনের প্রস্তুতি নেবেন। কোন ইউনিটের কমিটি করার কথা তাদেরকে বলা হয়নি বা তারা করতে পারবেন না।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী খান এর ছেলে। বরিশাল জিলা স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেয়া জয় উপজেলা ছাত্রলীগেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এসএসসি পাশ করে ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন জয়। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন আল নাহিয়ান খান জয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।এরপর সোহাগ-জাকির কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন জয়।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যশোরের সন্তান লেখক ভট্টাচার্য। তিনি জেলার মণিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামের দেবাশীষ ভট্রাচার্যের ছেলে। এর আগে লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত শনিবার দলের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন উপস্থিত নেতারা।

অভিযোগের মধ্যে কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেয়া, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে মন্ত্রীদের উপস্থিতিতেও সময়মতো কর্মসূচিতে উপস্থিত না হওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আর্থিক লেনদেন। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হলো।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।