লালমোহনে বিয়ের প্রলোভনে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক কাজের ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে।

জানা যায়, ধর্ষক আজকাল করে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে অবশেষে বিয়ে করেনি। বরং অসহায় মেয়ের পরিবারকে উল্টো চাপ ও নানাভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে।

এ ঘটনায় লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লর্ডহার্ডিজ্ঞ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহবাজপুর আবাসন এলাকার প্রভাবশালী দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে রাসেলদের বাসায় কাজ করত আবাসনের হতদরিদ্র পরিবারের এক মেয়ে। বাসায় কাজ করা এ মেয়েটির উপর লোলুপ নজর পড়ে রাসেলের। বিভিন্ন সময় খারাপ ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে এবং মেয়েটিকে ফুসলাতে থাকে। সে এতে সাড়া না দেয়া একদিন রাসেলদের বাগানের মধ্য দিয়ে আসার সময় তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একথা যাতে মেয়েটি কারো কাছে না বলে এজন্য তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয় এবং যদি সে প্রকাশ করে তাহলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে লোক লজ্জা, ভয়তে এবং প্রলোভনে পড়ে মেয়েটি লম্পট রাসেলের লালসার শিকার হওয়ার পরেও কারো কাছে প্রকাশ করেনি।

এরপর বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে লম্পট ধর্ষক তার সঙ্গে মিলিত হতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা রাসেলকে জানালে এবং বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে নানাভাবে তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে দেয়। মেয়েটি এতে রাজি না হলে তাকে টাকা পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়।

বিয়ের অল্প দিনের মাথায় গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। এ নিয়ে সমাজে নানা গুঞ্জন ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অবশেষে মেয়েটি লালমোহন থানায় এসে মোঃ রাসেলকে (২৫) বিবাদী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১২, ৮/৯/২০১৯।

এ ঘটনায় হতদরিদ্র মেয়েটি ও তার পরিবারের ওপর মামলা তোলার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বলে তারা জানায়।

অসহায় মেয়েটি, তার পরিবার ও এলাকাবাসী ন্যায় বিচার দাবি করেন।