বাংলাবাজার ট্র্যাজেডিতে আমাদের শোক ও সমবেদনা

ভোলার বাংলাবাজারে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেছে। সেখানকার ফাতেমা খানম মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ১ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভোলায় চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে মেডিকেল কলেজ স্থাপন দ্বীপজেলার মানুষের বহুদিনের প্রাণের দাবি। সেই দাবি পূরণ করেছেন এই এলাকার গণমানুষের নেতা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সেখানে এমন দুর্ঘটনা সত্যিই হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারণ।

বাংলাবাজারের ট্র্যাজেডিস্থলে দিনব্যাপী ভোলা প্রতিদিনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে। দিনভর সেখানে ছিল হৃদয়বিদারক দৃশ্য। এ ঘটনায় এলাকাবাসী শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছিলেন। তাদের প্রধানতম অভিযোগ ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের কাজ এবং দায়িত্বহীনতার কথা বলেছেন সাধারণ মানুষ। তোফায়েল আহমেদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছিলেন। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন তারা।

এ ট্র্যাজেডিতে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই শ্রমিক। জীবিকার তাগিদে তাদের অনেকেই এসেছিলেন দ্বীপজেলার বাইরে থেকে। ইটের পর ইট বসিয়ে শ্রমিকরা সাধারণ মানুষের জন্য গড়ে তুলছিলেন ভোলাবাসীর ভরসাস্থল মেডিকেল কলেজ ও মেমোরিয়াল হাসপাতাল। কিন্তু এখন তাদের একজন পরপারে আর অন্যরা নিজেরাই এখন জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন হাসপাতালে।

জননেতা তোফায়েল আহমেদ এ দুর্ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে আমরা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের এই নেতার মায়ের নামে তৈরি করা হাসপাতালে যারা অনিয়ম করতে পারে তাদের দ্বারা যেকোন অপকর্ম সম্ভব বলে প্রতীয়মাণ হয়। এর আগেও এমন হাইব্রিড নেতারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। এবারের ট্র্যাজেডির বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক মায়ের বুক খালি হবে। এতে ইমেজ সংকটে পড়বে সরকার এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ। এমনটা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।

একইসঙ্গে এসব দিনমজুর শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নয়তো তারা এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে না। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের যথাযথ চিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে এখন কঠোর হওয়ার সময় এসেছে। বাংলাবাজার ট্র্যাজেডিতে হতাহতদের প্রতি আমরা শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।